• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শিগগিরই স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন না নতুন ভোটাররা

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

শিগগিরই স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন না নতুন ভোটাররা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ আগস্ট ২০১৯

সারা দেশে চলছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পর করা হচ্ছে নিবন্ধন প্রক্রিয়া। এ কাজ শেষ হলেই দেওয়া হবে উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড। অবশ্য নতুন ভোটারদের এখন স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে না। তারা কাগজে লেমিনেটিং করা এনআইডি পাবেন। এমনটাই জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য যে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল বা যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল, সেখানে তখনকার ৯ কোটি ভোটারের স্মার্টকার্ড দেওয়ার কথা ছিল। ইসি চার কোটি ভোটারের স্মার্টকার্ড ছাপিয়ে বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে। আরো ৩ কোটি ৭০ লাখ ফাঁকা স্মার্টকার্ডে নাগরিকের তথ্য ইনপুট দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রাখে ইসি। অবশিষ্ট ১ কোটি ৩০ লাখ ফাঁকা স্মার্টকার্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এখনো হস্তান্তর করেনি।

ইসি কর্মকর্তারা আরো জানান, ৯ কোটি ভোটারের স্মার্টকার্ড সরবরাহের বিষয়টিই এখনো মীমাসিংত নয়। একই সঙ্গে নতুন ভোটারের স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য কোনো অর্থও নেই ইসির কাছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের তহবিল থেকে নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে ইসি। যেখান থেকে নতুনদের কার্ড সরবরাহ করা হবে।

বর্তমানে দেশে ১০ কোটি ৪৮ লাখ ভোটার আছে। অর্থাৎ ওই ৯ কোটির বাইরে দেড় কোটি ভোটার ইতোমধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। তারাও স্মার্টকার্ড পাননি। বর্তমানে যারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন তাদের পরবর্তী সময়ে ই-কার্ড সরবরাহ করা হবে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগসংক্রান্ত কমিটি সম্প্রতি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়, হালনাগাদসহ নিয়মিত অফিসে নিবন্ধিত সব নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হলেই জেলা অফিস থেকেই মুদ্রণ করতে হবে। এরপর তা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা কার্যালয় থেকে বিতরণ করা হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে নতুন ভোটারদের কার্ড ছাপানোর জন্য প্রিন্টারসহ অন্যান্য উপকরণ পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, দেশের সব নাগরিকদের স্মার্টকার্ড সরবরাহের জন্য আমরা সরকারের তহবিল থেকে নতুন একটি প্রকল্প নিচ্ছি। সেখান থেকেই ভবিষ্যতে স্মার্টকার্ড সরবরাহের বিষয়টি চলমান রাখা হবে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনসংক্রান্ত সেবায় সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সেবা সহজীকরণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। পরবর্তী সময়ে তালিকার ভিত্তিতেই সে সময়কার ৯ কোটি ভোটারকে লেমোনেটিং করা কাগজে এনআইডি সরবরাহ করা হয়। কমিশন ২০১১ সালে নাগরিকদের স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় একটি প্রকল্প হাতে নেয়। আইডিইএ নামের সে প্রকল্পের অধীনেই বর্তমানে স্মার্টকার্ড দেওয়া হচ্ছে। এ বছরই প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর সরকারি তহবিল থেকে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়ে সব নাগরিকের স্মার্টকার্ড সরবরাহের কার্যক্রম ধারাবাহিক রাখবে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads