মৌসুমের একেবারে শেষ সময়ে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। বছর জুড়ে অভাব অনটনে দিন কাটলেও মৌসুমের শেষ দিকে ইলিশের দেখা মেলায় হাসি ফুটেছে ভোলার জেলেদের মুখে। ভোলার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলোতে এখন উৎসবের আমেজ। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি মাছ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে মৎস্য বিভাগ।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর। এই চার মাস ইলিশের মৌসুম হলেও চলতি বছর ভোলা জেলার মেঘনা ও তেতুলিয়াসহ উপকুলীয় নদ-নদীগুলোতে ইলিশ ছিল দুর্লভ। তাই অভাব অনটনে দিন কেটেছে জেলেদের। মৌসুমের প্রথম দিকে ইলিশ একেবারে কম থাকলেও গত ২/৩ দিন জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। ইলিশের আকার ও একটু বড়। ফলে জেলেদের মুখে কিছুটা হাসি ফুটতে শুরু করছে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানান গত বছর ভোলা জেলায় এক লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ আহরিত হয়েছিল যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার টন বেশী। তাই এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় এক লাখ ৬০ হাজার টন। ভোলা জেলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী ও এর শাখা নদীগুলো মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ আহরণ করা হয়। এর মধ্যে ১৯০ কিলোমিটার জলসীমা ইলিশের অভয়ারণ্য।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো জানান,আগস্টে সাগরে ইলিশ পাওয়া গেলেও মেঘনা তেতুলিয়ায় কাঙ্খিত ইলিশ পাওয়া যায়নি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি মেঘনা তেতুলিয়ায় পানির উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাগর থেকে প্রচুর ইলিশ নদীতে আসতে শুরু করেছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে ইলিশের মৌসুমেরও কিছু পরিবর্তন হয়েছে, তাই চলতি বছর নদীতে ইলিশ আসতে বিলম্ব হয়েছে ।
ভোলায় এখন প্রতিদিন গড়ে ৪০০ টন ইলিশ আহরণ করছে জেলেরা। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি যার পরিমাণ এক হাজার টনে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করছে ভোলা মৎস বিভাগ।
ভোলার কয়েকটি মাছ বাজারে যেয়ে ইলিশের আগমন বেশী দেখা গেলেও ক্রেতারা বলছেন দাম কিন্তু কমেনি । ৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি। ৯০০ গ্রাম বা তার উপরের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে।
