• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

বহুতল ভবন নির্মাণে পরিবেশের দিকে নজর দিন : প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বহুতল স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে এলাকার জনঘনত্ব, সড়কে যানবাহনের চাপ ও ধারণক্ষমতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। যত্রতত্র বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে প্রয়োজনে আইন প্রণয়নের কথাও বলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন এবং বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত কয়েকটি প্রকল্পের ধারণা প্রস্তাব দেখার পর তিনি এ নির্দেশনা দেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবাসিক ভবন নির্মাণের সময় টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে উন্মুক্ত জায়গা, প্রাকৃতিক বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা, বারান্দা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যেন থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বর্জ্য পানি ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে নজর দিতে হবে। এখন থেকে গ্যাস ও পানির লাইনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ লাইনকেও ভূগর্ভে স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। 

বৈঠকে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোর তথ্য উপস্থাপন করেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজি গোলাম নাসির ও সহকারী স্থপতি সৈয়দা সায়কা বিনতে আলম। উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আজিমপুর সরকারি কলোনিতে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, নির্মাণাধীন ২০ তলা সচিবালয় ভবনে মন্ত্রিপরিষদের সভা আয়োজনের সংস্থান, শেরেবাংলা নগরে স্থপতি লুই আই কানের করা মাস্টারপ্ল্যানের ৪৩ একর জমিতে জরাজীর্ণ ভবন অপসারণ করে বহুতল ভবন নির্মাণ এবং হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় মাল্টিপারপাস সহযোগী ভবন নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে এর মধ্যে।

শেরেবাংলা নগরের বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পে লুই আই কানের সহযোগী স্থপতি হেনরি উইলকটকে পরামর্শক অথবা উপদেষ্টা হিসেবে রাখার বিষয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সায় দেন প্রধানমন্ত্রী।  পরিকল্পনা অনুযায়ী শেরেবাংলা নগরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য ৫১টি দশতলা ভবন করা হবে। এসব ভবনে মোট ১ হাজার ৮৩৬টি আবাসিক ফ্ল্যাট থাকবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

২০ তলা সচিবালয় ভবনটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আজিমপুরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০ তলাবিশিষ্ট ১৫টি ভবনে বিভিন্ন আকারের মোট ১ হাজার ১৪০টি ফ্ল্যাট থাকবে। ব্যয় হবে ১ হাজার ৯২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে হাতিরঝিল এলাকায় পুলিশ প্লাজাসংলগ্ন ভায়াডাক্ট ১ ও ২-এর পাশে ১.৩ একর জমিতে ২০ তলা একটি নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তাব পদ্মার পাড়ে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads