• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশে ১০০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে আরব আমিরাত

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

বাংলাদেশে ১০০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে আরব আমিরাত

  • প্রকাশিত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (এক হাজার কোটি ডলার বা ৩৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন দিরহাম) বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা।

দুবাইয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ এই ফোরাম শুরু হবে। এতে ৩০০ জনের বেশি সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করবে। এক দিনের এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশ ও ইউএই-এর বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ প্রবাহকে শক্তিশালী করা।

জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী বাংলাদেশি। সেখানে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় দেড় লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মরত। ফোরামের মূল বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ’র (বিএইচটিপিএ) কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ২০ সদস্যের সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিনিয়োগ এজেন্সি (আইপিএ) হলো- বিডা, বেজা এবং বিএইচটিপিএ।

প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশি পেশাদার ও উদ্যোক্তা ভিত্তিক বেসরকারি খাতের উদ্যোগে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত উপসাগরীয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে। এখানে প্রায় ২০টি নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামে উপস্থাপন করবে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, ‘সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) গ্রহণে বাংলাদেশ সব সময়ের চেয়ে এখন আরও বেশি স্বাগত জানায়। গত বছর বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৯ শতাংশ বেড়ে ৩৬১ বিলিয়ন হয়।’

‘আমরা সব সময় চীন, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় ধরনের বিনিয়োগ দেখে আসছি। এখন আমরা বিশ্বাস করি জিসিসিভুক্ত দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়, অপারেশনস এবং উচ্চতর রিটার্নের সুবিধা নেয়া উচিত।’

‘যেহেতু বাংলাদেশে প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ মধ্যআয়ে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ফলে অভ্যন্তরীণ খরচ ও ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে।’

‘আমরা বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাই-টেক পার্ক উন্নয়ন করেছি। যাতে করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সর্বনিম্ন শ্রম ব্যয় ও খুব কম অপারেশনাল ব্যয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উপসাগরীয় দেশ থেকে আসা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সুযোগসমূহ গ্রহণ করা উচিত।’

তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের জ্বালানি, বন্দর, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। তার সঙ্গে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এই বছর সম্পূর্ণ নতুন স্তরে পৌঁছাবে।

বাংলাদেশের সরকার প্রধানের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, গত বছর বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৯ শতাংশ বেড়ে ৩৬১ বিলিয়ন হয়। বাংলাদেশ আরও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। আমরা চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ পেয়েছি। আমরা মনে করি জিসিসিভুক্ত দেশগুলো, বিশেষভাবে ইউএই ও সৌদি আরবের বাংলাদেশে কম খরচে বিনিয়োগ করে বেশি লাভের সুযোগ নেয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads