• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
কাঁচপুরে পোশাক শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ৩০

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

কাঁচপুরে পোশাক শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ৩০

  • সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে। এ সময় শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার সকালে বেতন ভাতা, মাতৃত্বকালীন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দাবিতে শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করে।

এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রায় ৩ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরে কাচঁপুর শিল্প পুলিশ ও সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

শ্রমিকরা জানান, উপজেলার কাচঁপুর এলাকায় অবিস্থত ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন, মাতৃতত্বকালীন ছুটির টাকা, শ্রমিক ছাটাই বন্ধের দাবিতে রোববার সকালে কাজে যোগ না দিয়ে একত্রিত হয়ে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও কাচঁপুর শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পাল্টা টিয়ারশেল ও জলকামান ছুড়ে মারলে কাচঁপুর এলাকায় সিলেট মহাসড়ক রনক্ষেত্র পরিনত হয়। এতে শ্রমিক-পুলিশ সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ করায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন প্রায় ৩ ঘন্টা বন্ধ থাকে। ফলে দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়ে দুরপাল্লার যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা গ্রুপের পরিচালক (প্রশাসন) সাইফুল কবির জানান, শ্রমিকরা অযুক্তিক দাবি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে ও কারখানায় ভাংচুর চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। 

শিল্প পুলিশ-৪ এর পুলিশ সুপার বশির জানান, শ্রমিকরা তাদের কিছু দাবি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অর্ধশতাধিক টিয়ার শেল, ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটে অন্তত ২০ জন শ্রমিক ও ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

=তবে দুপুর ১২টার দিকে শ্রমিকদের শান্ত করে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads