• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

শুরু হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ অক্টোবর ২০১৯

দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন ও বিশ্বব্যাপী অবারিত মঙ্গলধ্বনি বয়ে যাক, দেবী দুর্গা এমন বার্তা নিয়েই ঘোড়ায় চড়ে এবার আসছেন লোকালয়ে। দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় মাতোয়ারা ভক্তকুল। কোনো কিছুতেই যেন কমতি না থাকে সেই নিয়ে ব্যস্ত প্রতিটি পূজামণ্ডপ। আর এমন সাজ সাজ রবের মধ্য দিয়েই গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) পঞ্চমীর সন্ধ্যায় হয়ে গেল দেবীর বোধন। আজ (শুক্রবার) থেকে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়েই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক দুর্গাপূজা।

বোধন অর্থ চৈতন্যপ্রাপ্ত বা জাগরণ। পূজা শুরুর আগের দিন সন্ধ্যায় বেলশাখায় দেবীর বোধন দুর্গাপূজার একটি অন্যতম আচার। সাধারণত শুক্লাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বোধন হয়ে থাকে। তবে এবার তিথি অনুযায়ী পঞ্চমীতেই বোধন হয়। পুরাণ অনুসারে, শরৎকালে ভগবান রামচন্দ্র দুর্গাপূজা করেন রাক্ষসরাজ রাবণকে বধের উদ্দেশ্যে। তখন তিনি অকালে বোধন করেন বলে এটিকে অকালবোধনও বলা হয়ে থাকে। শরৎকালের দুর্গাপূজায় এই বোধন করার বিধান থাকলেও বসন্তে অর্থাৎ চৈত্র মাসে যে বাসন্তীপূজা হয় তাতে বোধনের প্রয়োজন হয় না।

মূলত অকালবোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বিভিন্ন পূজামণ্ডপে-মন্দিরে সন্ধ্যায় করা হয় বন্দনাপূজা। আজ ষষ্ঠী তিথি থেকে তির-ধনুক, চক্র-গদা, খড়্গ-কৃপাণ, কল্যাণ ও ত্রিশূল হাতে শক্তিরূপী দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধে স্থান নেবেন মণ্ডপে-মন্দিরে। দশহস্তে অস্ত্রে সজ্জিত ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার অতল স্নিগ্ধ চোখের পলক খুলে যাবে। জেগে উঠবেন দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দশভুজা দেবী দুর্গা। শুরু হবে বাঙালি হিন্দুদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।

ষষ্ঠীতে কল্পারম্ভ এবং দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস শেষে মাতৃরূপে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঠাঁই করে নেবেন কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসা মা দুর্গা। মূলত দুর্গাপূজা হয় আশ্বিনের শুক্লাষষ্ঠী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত। এ সময় ভক্তরা মেতে ওঠে আরাধনায়, ঢাকে পড়ে কাঠি আর ধূপের ধোঁয়া। ঢাক-ঢোলের সঙ্গে দেবী দুর্গার ভক্তিতে সরব হয়ে ওঠে পূজামণ্ডপ। চলে বিসর্জনের আগ পর্যন্ত। ৫ দিনব্যাপী দুর্গোৎসবের দশমী এবার মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর)।

রাজধানীসহ সারা দেশেই বিভিন্ন পূজামণ্ডপ এখন প্রস্তুত। কারিগররা প্রতিমার অবয়ব গড়ার কাজ আগেই শেষ করেছে। বোধনের আগেই শেষ হয় তুলির আঁচড়, পড়ানো হয় প্রয়োজনীয় অলংকার। নিপুণ শিল্পকর্মে শুধু মা দুর্গাই নয়, জেগে উঠেছেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিকসহ অন্য দেবতারাও।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads