• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সৌদি থেকে ফেরত এসেছে ১১ হাজার বাংলাদেশি

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

সৌদি থেকে ফেরত এসেছে ১১ হাজার বাংলাদেশি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর ২০১৯

কাজের অনুমতি কিংবা আকামা থাকা সত্ত্বেও প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো অজুহাতে দেশে ফিরতে হচ্ছে সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া শ্রমিকদের। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে ১০৫ বাংলাদেশি শ্রমিককে ফেরত পাঠিয়েছে বড় শ্রমবাজারের এই দেশটি। গত ৩ ও ৪ অক্টোবর দুদিনের ব্যবধানে ২৫০ কর্মী সে দেশ থেকে ফিরে এসেছেন। এরপর ৫ অক্টোবর আরো ৮৬ জন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসেন। এ নিয়ে চলতি মাসেই দেশে ফিরলেন ৪৪১ কর্মী। আর চলতি বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল সৌদি আরব।

গতকাল বুধবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের ঝঠ ৮০৪ ফ্লাইটে ৪২ জন ও দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে ঝঠ ৮০২ বিমানযোগে ৬৩ জন শ্রমিক দেশে ফেরেন। এ নিয়ে সৌদি আরব থেকে ধরপাকড়ের মুখে চলতি মাসেই দেশে ফিরলেন ৪৪১ কর্মী। সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা কর্মীদের বিমানবন্দরেরর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে খাবার ও পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

এ সময় ফিরে আসা কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের সবজি ও খেজুর বিক্রি কিংবা ভিক্ষার মিথ্যা অভিযোগ এনে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে পিরোজপুর জেলার মোহাম্মদ শামীম জানান, দেড় মাস আগে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করে তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। আকামা থাকা সত্ত্বেও তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

একই সঙ্গে ফেরত পাঠানো মুন্সীগঞ্জের মহিউদ্দিন জানান, তিনি ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে কাজ করছেন। কাজের অনুমতিসহ তার থাকারও বৈধতা ছিল। দুদিন আগে এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার জন্য রুম থেকে বের হলে সৌদি ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আকামা দেখালেও তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আটকের কারণ জানতে চাইলে তাকে মারধর করা হয়।

শামীম ও মহিউদ্দিনের মতোই নিজেদের দুর্ভোগের কথা জানান নোয়াখালীর সাইফুল, কুমিল্লার রাজু, ঢাকার রাসেলসহ আরো অনেকেই। দেশে ফেরা কর্মীদের বক্তব্য, মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, এ বছর ১০ থেকে ১১ হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সাধারণ ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগ কর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করলে কর্মীদের ফেরত পাঠানো হতো। কিন্তু এবার ফেরত আসা কর্মীদের অনেকেই বলছেন, তাদের বৈধ আকামা ছিল। আসলেই এমনটা হয়েছে কি না সেটা দূতাবাস ও মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখতে পারে।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশিদের কেন ফেরত পাঠানো হচ্ছে, সেই কারণটা বের করে করণীয় ঠিক করা উচিত। এতে নতুন করে যারা সৌদি আরব যেতে চাইছেন তাদের বিপদে পড়ার সম্ভবনা কম থাকবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads