• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
মায়ের কথায় রাশিয়ায় যাননি আবরার

আবরার ফাহাদ

ফাইল ছবি

জাতীয়

মায়ের কথায় রাশিয়ায় যাননি আবরার

  • জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল, কুষ্টিয়া
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০১৯

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের বরকত উল্লাহর ও রোকেয়া খাতুনের বড় ছেলে আবরার ফাহাদ ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন ঢাকা নটরডেম কলেজে। সেখান থেকে ২০১৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষাতেও গোল্ডেন এ প্লাসসহ উত্তীর্ণ হন। পরে বুয়েটের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস বিভাগে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। ফাহাদ সেখানে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। গত রোববার রাত ৩টার দিকে হলের এক বড় ভাইয়ের কাছে ফাহাদের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফায়াজ।

রাশিয়া গিয়ে পারমাণবিক নিয়ে গবেষণার সুযোগও পেয়েছিলেন আবরার। কিন্তু মায়ের আপত্তি, যারা পারমাণবিক নিয়ে কাজ করে তাদের ক্যানসার হয়। তাই মায়ের অনুমতি না পেয়ে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন আবরার। ফাহাদের শোকার্ত মা রোকেয়া খাতুন আহাজারি করে এ কথা বলেন। ছেলেটা ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর বুয়েটে চান্স পেয়েছিল। সব বিসর্জন দিয়ে ভর্তি হয় বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ার হবে বলে। আজ ছেলেটা লাশ। তাকে মেডিকেলে পড়তে বলেছিলাম, সে পড়ে নাই, ছেলেটা আজ মেডিকেলের মর্গে। নিহত আবরার ফাহাদ অবসরপ্রাপ্ত ব্র্যাককর্মী বরকত উল্লাহ-রোকেয়া দম্পতির বড় ছেলে।

ফায়াজ বলেন, যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারাই অপপ্রচার চালাচ্ছেন ফাহাদ ছাত্রশিবির করত। প্রকৃতপক্ষে ফাহাদ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত কিন্তু রাজনৈতিক কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ফাহাদ ছুটিতে বাড়িতে এসে ১০ দিন ছিল। আগামী ২০ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। তাই গত রোববার সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। কে বা কারা কী কারণে ছেলে ফাহাদকে নৃশংস হত্যা করেছে তার কিছুই জানেন না তিনি। যারাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তিনি। কুষ্টিয়া শহরের বাড়ির আশপাশের লোকজন ফাহাদ ও তার পরিবার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলতে না পারলেও তাদের গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে ফাহাদরা সবাই খুব পরিচিত। একসময় এরা সবাই কৃষি পরিবার ছিল। পরে এদের পরিবারের অধিকাংশ সদস্য বিভিন্ন জায়গায় চাকরি নিয়ে বাইরে থাকেন। কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক স্বপন বলেন, ছেলেটি খুব ভালো এবং ওকে কোনো দিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে দেখিনি। কুষ্টিয়া থেকে এসএসসি পাস করার পরই ঢাকায় পড়তে চলে যায় সে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads