বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নিহতের বাবা-মা, একমাত্র ভাইসহ স্বজনরা। বড় ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে যাওয়া আবরারের মা রোকেয়া বেগম শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবরার নিহত হওয়ার পর থেকেই আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। এক ছেলেকে হারিয়েছি, আরেক ছেলেকে হারাতে চাই না। আমি আমার ছোট ছেলের নিরাপত্তা চাই।’
এদিকে আবরার নিহত হওয়ার পর থেকে এই পরিবারে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। ভয়ে ও আতঙ্কে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে আর কোনো কথা বলতে চাচ্ছেন না।
আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বলেন, ছোট ছেলে ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে (বিজ্ঞান বিভাগ) পড়ে। এখন সে ঢাকায় পড়তে যেতে ভয় পাচ্ছে। সে ঢাকায় পড়তে যেতে চাচ্ছে না। এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েট ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ও আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িত ১৯ আসামিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুয়েট ক্যাম্পাসে ভিসির সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ বলেন, এই বহিষ্কার যেন স্থায়ী বহিষ্কার হয়। আবরার হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে দ্রুত শেষ করে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমার গোটা পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে রয়েছে। আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাই।