• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

ঢাকায় যেতে চান না আবরারের ছোট ভাই

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ অক্টোবর ২০১৯

ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর আবরারের মা রোকেয়া বেগম। আবরার নিহত হওয়ার পর থেকেই আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। এক ছেলেকে হারিয়েছি আর কোনো ছেলেকে হারাতে চাই না। আমি আমার ছোট ছেলের নিরাপত্তা চাই।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন আবরারের বাবা-মা ও একমাত্র ভাইসহ স্বজনরা। অজানা আতঙ্ক গ্রাস করে ফেলছে গোটা পরিবারটিকে। আবরার নিহত হওয়ার পর থেকে এই পরিবারে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। ভয়ে ও আতঙ্কে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে আর কোনো কথা বলতে চাচ্ছেন না।

আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বলেন, ছোট ছেলে ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে (বিজ্ঞান বিভাগ) পড়ে। এখন সে ঢাকায় পড়তে যেতে ভয় পাচ্ছে। সে ঢাকায় পড়তে যেতে চাচ্ছে না। এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েট ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ও আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িত ১৯ আসামিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বুয়েট ক্যাম্পাসে ভিসির সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ বলেন, এই বহিষ্কার যেন স্থায়ী বহিষ্কার হয়। আবরার হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে দ্রুত শেষ করে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমার গোটা পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে রয়েছে। আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাই।

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধে খুশি আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ : বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন নিহত আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ। তবে হত্যা মামলার ১৯ আসামিকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করায় খুশি হতে পারেননি। এসব খুনিদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে তিনি আশা করেন। বুয়েটে ছাত্রদের সঙ্গে ভিসির বৈঠকে দেওয়া বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে এক প্রতিক্রিয়ায় আবরার ফাহাদের পিতা বরকতুল্লাহ এ কথা বলেন।

বরকতুল্লাহ বলেন, ছাত্ররা যে ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন তার সঙ্গে আমি একমত। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়টি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া নিয়ে সবাই ব্যস্ত থাকে। সেখানে রাজনীতির নামে অপরাজনীতি বেশি হয়। নির্যাতন করা হয় ছাত্রদের ওপর। তাই স্থায়ীভাবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়টি দেশবাসী স্বাগত জানিয়েছে। পাশাপাশি হত্যা মামলার ১৯ আসামিকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার না করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। এতে সবাই খুশি হতো। তবে তাদের দ্রুত স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে আশা করি। এ ছাড়া র্যাগিং বন্ধ, ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ আরো কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয় এ সভায়। আবরার ফাহাদের বাড়ির পাশে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে পরিবারের লোকজন ছাড়াও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads