অনিশ্চয়তা কাটিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। আজ সোমবার সকাল ৯টায় এ পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা ৩ ঘণ্টা এই লিখিত পরীক্ষা দেবেন ভর্তিচ্ছুরা।
এ সময় দেখা যায়, পরীক্ষা শুরুর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপচেপড়া ভিড়। বুয়েট ক্যাম্পাসে কোনো অভিভাবককে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীরাই ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে বুয়েট ক্যাম্পাসের ভেতরে অভিভাবকদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস। এ সময় ১০ দফা দাবি জানায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি মানা না হলে ভর্তি পরীক্ষা হতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিলে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল করে আন্দোলনকারীরা।
বুয়েটে ভর্তির আবেদন শুরু হয় গত ৩১ আগস্ট। আবেদন ও ভর্তি ফি প্রদানের শেষ দিন ছিল ৯ সেপ্টেম্বর। ভর্তি পরীক্ষার যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয় ১৮ সেপ্টেম্বর এবং আজ (১৪ অক্টোবর) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার ফল আগামী ২৬ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।
বুয়েটে রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগে ৬০, ধাতব প্রকৌশলে ৫০, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১৯৫, পানি সম্পদ প্রকৌশলে ৩০, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১৮০, নৌ স্থাপত্য ও সামুদ্রিক প্রকৌশলে ৫৫, শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশলে ৩০, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশলে ১৯৫, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে ১২০, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০, স্থাপত্য বিভাগে ৫৫ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ৩০টি আসন রয়েছে।
আবেদনকারীদের মধ্য থেকে প্রথম ১২ হাজার জনকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
