• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

বুয়েটে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা রোখার শপথ 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ অক্টোবর ২০১৯

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব ধরনের সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার শপথ নিয়েছেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীরা আয়োজিত এ শপথ অনুষ্ঠানে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষকও অংশ নেন। তবে দর্শক সারিতে থাকা অন্য শিক্ষকরা শপথ নেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে গণশপথ নেওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্থান পরিবর্তন করে তা বুয়েট অডিটরিয়ামে হয়। শপথবাক্যে তারা বলেন, এ বিশ্বববিদ্যালয় সব প্রকার সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানকে আমরা সম্মিলিতভাবে রুখব। একই সঙ্গে সব ধরনের অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকারও শপথ নেন তারা। 

শপথে তারা বলেন, এই আঙিনায় যেন আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে না যায়, আর কোনো নিরপরাধ কেউ যাতে অত্যাচারের শিকার না হয়, তা আমরা সবাই মিলে নিশ্চিত করব। নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরনের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার আমরা সমূলে উৎপাটিত করব। অনুষ্ঠানে আবরার ফাহাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে আন্দোলনে ‘আপাতত’ ইতি টানার কথা গত মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর নির্যাতনে গত ৬ আগস্ট রাতে তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নিহত হওয়ার পর আন্দোলনে নেমে ১০ দফা দাবি তোলেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা। বুয়েট শিক্ষক সমিতি ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান। দাবির মুখে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, আবরার হত্যার আসামিদের সাময়িক বহিষ্কার, হলগুলোতে নির্যাতন বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অধিকাংশ দাবি পূরণের আশ্বাসের পরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের পাঁচটি দাবি তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নের বিজ্ঞপ্তি দিলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আন্দোলন শিথিল হয়।

ইতোমধ্যে আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। নোটিশ এসেছে জড়িতদের তদন্তের ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার তদন্তের ভিত্তিতে নতুন করে কারো নাম এলে তাদেরও আজীবন বহিষ্কার করা হবে।

শপথগ্রহণ শেষে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই আবরার হত্যায় জড়িতদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। আমার একক সিদ্ধান্তে কোনো কিছু হবে না। তদন্ত প্রতিবেদন, ডিন-সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিব। আপনারা অধৈর্য হবেন না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads