• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

র্যাবের দাবি

দেশে বর্তমানে ক্যাসিনোর অস্তিত্ব নেই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ অক্টোবর ২০১৯

দেশে এখন কোনো ক্যাসিনোর অস্তিত্ব নেই। সন্দেহভাজনরা নজরদারিতে আছেন বলে দাবি করছে র্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ক্যাসিনোসংক্রান্ত অপরাধ দমনে সুনির্দিষ্ট আইন প্রয়োজন। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সমাজের বিভিন্ন স্তরে অনিয়ম বন্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান রাখতে হবে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর দিনেই গ্রেপ্তার হন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া, ২০ সেপ্টেম্বর ৭ দেহরক্ষীসহ জি কে শামীম, কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, ২৬ সেপ্টেম্বর বিসিবি পরিচালক লোকমান ভূঁইয়া, ৩০ সেপ্টেম্বর অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান। এরপর ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও আরমান। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোসংক্রান্ত অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৮ জন। এ ছাড়া ২০১ জনকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয় তিন গডফাদারসহ শতাধিক ব্যক্তিকে। ১১টি ক্যাসিনো ও ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকার সামগ্রী। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

ক্যাসিনোসংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর মধ্যে নয়টি তদন্ত করছে র্যাব। বাকি মামলাগুলো সংশ্লিষ্ট থানা, সিআইডি এবং গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। এসব মামলা তদন্ত করে যদি কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রকাশ্যে জুয়া আইন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মধ্যে কার্যকর নেই। এ বিষয়ে আইন থাকলে ভবিষ্যতে ক্যাসিনো গড়ে উঠবে না। এই মুহূর্তে বলতে পারি, ঢাকাতে কোনো ক্যাসিনোর অস্তিত্ব নেই।

র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে এলে আমাদের নিয়মের মধ্যে যা রয়েছে, সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।

অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের একটা কৌশল রয়েছে। কোন পর্যন্ত একটা কাজ করবেন তার একটা রেখা রয়েছে। তাই অপরাধ যাতে সমূলে উৎপাটিত হয় সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবাহিত অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান আপাত সফল হলেও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে অব্যাহত রাখতে হবে নজরদারি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads