• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

জাতীয়

দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিল কমিশন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ অক্টোবর ২০১৯

দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আটটি অভিযোগ আমলে নিল কমিশনের ‘অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি’। গতকাল মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ অনুসরণে ‘অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির’ এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দুদকের উপপরিচালক জনসংযোগ প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, গতকাল মঙ্গলবার অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির সভায় কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক আইনি ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেউ কোনো প্রকার দুর্নীতি বা অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন কি না কিংবা কোনো ব্যক্তিকে অযথা হয়রানি করেছেন কি না অথবা ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অন্য কোনো অপরাধ করছেন কি না এ জাতীয় কয়েকটি অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় প্রাপ্ত এ জাতীয় আটটি অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনিক অনুসন্ধান/তদন্ত/বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এ সময় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমিশন প্রদত্ত আইন ও বিধিমালার আওতায় ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন। তাদের কেউ যদি এ ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি, নির্ধারিত সময়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত কার্য সম্পন্ন না করে কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করেন, তাহলে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। যারা কমিশন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির সদস্য দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, সদস্য মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো. মফিজুর রহমান ভূঞা, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. জহির রায়হান, পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) জালাল সাইফুর রহমান প্রমুখ।

এদিকে দুদক প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ কোর্সে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনের জন্য গঠিত প্রতিষ্ঠান। দেশের উন্নয়নে সবাই প্রতিষ্ঠানটিকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায়। আর এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান তখনই শক্তিশালী হয়, যখন ওই প্রতিষ্ঠানের কমর্কতা-কর্মচারীদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সর্বোচ্চ চারিত্রিক দৃঢ়তা থাকে।

তিনি কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতার দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্তের গোপনীয় তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। তথ্য পাচারের মতো অনৈতিক কাজে কেউ জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

তিনি আরো বলেন, দুদকের কাজকর্ম যথাযথভাবে সময়মতো সম্পন্ন করার জন্য যেসব পদ্ধতিগত সংস্কার করা হয়েছে বা হবে সেগুলো আমলে নিয়ে আপনারা সব কাজ সম্পন্ন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads