• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ভোলায় মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

ভোলায় মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা

  • ভোলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ অক্টোবর ২০১৯

ভোলার বোরহানউদ্দিন থানা ভবন থেকে ১০০ মিটারের দূরত্বে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পৌর এলাকার একটি মহল্লার নাম ভাওয়াল বাড়ী । একসময় এখানে ভাওয়ালরা থাকতেন। তাদের কাছ থেকে জমি কিনে হিন্দু মুসলিমসহ প্রায় ৪০টি পরিবার বাস করে। গত রোববার বোরহানউদ্দিনে জনতা পুলিশ সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও শতাধিক আহতের ঘটনার পর একদল লোক ভাওয়াল বাড়ীর মধ্যে শ্রী শ্রী গৌর নিতাই আশ্রম মন্দিরে হামলা করে সেখানে থাকা চেয়ার ও প্রতিমা ভাংচুর করে এবং কয়েকটি হিন্দু বাসায় ভাংচুর করে ও একটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়।

এ ঘটনায় মন্দিরের সভাপতি সত্য প্রসাদ দাস বোরহানউদ্দিন থানায় অজ্ঞাত ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে  একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষে রোববারের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান স্থানীয় সরকার ভোলার উপ-পরিচালক মামুদুর রহমান,কমিটির সদস্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটিও শিক্ষা) আতাহর মিয়া,অতিরিক্ত পুলিশ সুপর সদর সার্কেল মহসিন আল ফারুক এবং বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক আজ বুধবার দুপুরে ভাওয়াল বাড়ীতে ভাংচুর করা মন্দির ও বাড়ি পরিদর্শন করেন।

শ্রী শ্রী গৌর নিতাই আশ্রম মন্দিরের সভাপতি সত্য প্রসাদ দাস জানান রোববার দুপুরের দিকে হঠাৎ শতাধিক সন্ত্রাসী তাদের মন্দিরে হামলা করে এবং ৮/৯ টি বাসা ভাংচুর করে এবং তাকেও মারধর করে।

জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও স্থানীয় সরকার ভোলার উপ-পরিচালক মামুদুর রহমান জানান, তিনি আজ বুধবার দুপুরে ভাওয়াল বাড়ীতে ভাংচুর করা মন্দির ও বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় কমিটির অন্য দু’সদস্য ও উপস্থিত ছিলেন।

 এর আগে,  আজ দুপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আলেম ওলামাদের সঙ্গে  সভা করেছেন এবং তাদের বক্তব্য ও ঘটনার তথ্য উপাত্ত নিয়েছেন। তিনি আরো জনান তাদের তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার বুধবার শেষ দিন। পুর্নাঙ্গ রিপোর্ট করতে আরো কিছু সময় লাগবে তাই জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে আরো দু’দিন সময় বাড়িয়ে নেবেন।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি  এনামুল হক জানান মন্দির ও হিন্দু বাড়ী হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে । এখন প্রকৃত আসামি ও অপরাধীদের খুজে বের করে গ্রেফতারের কাজ চলছে।

মন্দিরের  যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় দাস জানান রোবারের সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয়রা যখন আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে আনছিলেন তখন এক দল মন্দির ও হিন্দু বাড়ীতে হামলা চালায়। ভোলা ও বোরহানউদ্দিনে এখনো বিজেবি ও র‍্যাবের টহল চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads