• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
 জামিন চাইতে গিয়ে মারা গেলেন জেলা যুবদল সভাপতি

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

জামিন চাইতে গিয়ে মারা গেলেন জেলা যুবদল সভাপতি

  • মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ নভেম্বর ২০১৯

নাশকতা মামলায় জামিন চাইতে হাইকোর্টে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি কাজী রায়হান উদ্দিন টুকু মারা গেছেন।

আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি পৌর এলাকার সেওতা এলাকার বাসিন্দা। মৃত্যুকালে তিনি মা, ভাই, বোন, স্ত্রী ও সাত বছরের এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এ জিন্নাহ কবীর জানান, মামলার আগাম জামিন নিতে কাজী রায়হান উদ্দিন টুকুসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু নেতা কর্মী হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। সেখানে কয়েক ঘন্টা অবস্থানকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের জিএস, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আজ সোমবার বাদ জোহর সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও মানিকগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ জানাযা নামাজে অংশ নেন।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তোজাম্মেল হক তোজা, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ও বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া সাঈদ ও যুবদল সাধারণ সম্পাদক কাজী মোস্তাক আহম্মেদ দিপুর পরিচালনা এ জানাযা পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জামিলুর রশিদ খান, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল হুদা সেলিম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এ জিন্নাহ কবীর, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান,অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, আফম সুলতানুল আযম খান আপেল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বাবু সুদেব সাহা, টুকুর ছোট ভাই কাজী টিটু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কাজী রায়হান উদ্দিন টুকু ছিলেন একজন সৎ,ন্যায়পরায়ন, মানবদরদী রাজনীতিবিদ। আজকের জানাযা নামাজের এই জনসমুদ্র তাই প্রমাণ করে।

জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান বলেন, সরকার কর্তৃক মিথ্যা মামলা মোকাবেলা করতে করতেই টুকু অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হয়।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোস্তাক আহম্মেদ দিপু বলেন, রায়হান উদ্দিন টুকুর নামে আগের ৬টি মামলা ছিল এবং অতি সম্প্রতি জেলা সাটুরিয়া থানার আরো একটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি নিয়ে তিনি সব সময় চিন্তা করতেন এবং জামিনের বিষয়ে সবসময় চেষ্টা করতেন। মূলত গায়েবি মামলার কারণেই অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান।

কাজী রায়হান উদ্দিন টুকুর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আফরোজ খান রিতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম সুলতানুল আযম খান আপেল, জেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ মুহাম্মদ কামরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads