• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
আজ ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর

ফাইল ছবি

জাতীয়

আজ ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ নভেম্বর ২০১৯

আজ ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের শেষদিকে দ্রুত রাজনৈতিক রক্তাক্ত উত্থান-পতনের ঘটনাবলির মধ্যে এই দিনে তৎকালীন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা সংহত করে অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীলতার সূচনা করেন। সিপাহি-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন জিয়াউর রহমানকে। তবে সেদিনের ঘটনায় বেশ কিছুু সামরিক কর্মকর্তা হত্যার শিকার হন, যারা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

বিএনপি দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’, আওয়ামী লীগ ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। আর অন্যান্য দল ও সংগঠনগুলোর অনেকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে। দিনটি উপলক্ষে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।

ফিরে দেখা এই দিন 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ধারাবাহিকতায় ওই দিনই সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ তার অনুসারী সেনাসদস্যদের নিয়ে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেন। নিজেই পদোন্নতি নিয়ে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, মেজর জেনারেলের ব্যাজ ধারণ এবং সেনাপ্রধানের পদ দখল করেন। ৬ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ বঙ্গভবনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমদকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি মন্ত্রিসভা বাতিল ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। একই দিনে তিনি প্রধান বিচারপতি আবু সা’দাত মোহাম্মদ সায়েমকে দেশের প্রেসিডেন্টের পদে বসান। এভাবে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, অনিশ্চয়তা ও ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে কেটে যায় চার দিন। একপর্যায়ে ৬ নভেম্বর গভীর রাতে সেনাবাহিনীর সাধারণ সিপাহীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এই অবস্থায় বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। পাল্টা অভ্যুত্থান ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ হারান খালেদ মোশাররফ ও তার কতিপয় অনুসারী। তারপর থেকেই ৭ নভেম্বর পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে। বিএনপি সরকারের সময়ে এ দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এসে এ ছুটি বাতিল করে।

দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে আজ সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ১০টায় দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। এ ছাড়া ঘোষিত কর্মসূচিতে আগামীকাল আলোচনা সভা রয়েছে। আলোচনা সভা করবে মহানগর নাট্যমঞ্চে। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র-লিফলেট প্রকাশ করবে বিএনপি।

এদিকে মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফের মেয়ে মাহজাবিন খালেদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ (বীরউত্তম), লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ টি এম হায়দার (বীরউত্তম), কর্নেল নাজমুল হুদা (বীরবিক্রম) হত্যা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads