• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
সেন্টমার্টিনে আটকা ১২শ পর্যটক ফিরেছে

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

সেন্টমার্টিনে আটকা ১২শ পর্যটক ফিরেছে

  • টেকনাফ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ নভেম্বর ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া প্রায় ১২শ পর্যটক জাহাজে ফিরেছেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় আটকাপড়া পযটকদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পর্যটকবাহী জাহাজে করে টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট পৌঁছান পর্যটকরা।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন এর নির্দশে উপজেলা ইউএনও-এর নেতৃত্বে উপেজেলা প্রশাসন ফিরে আসা পর্যটকদের হাতে ফুল ও চকলেট তুলে দেন।  

একই দিন সকালে তিনটি জাহাজ আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে  আনতে দ্বীপে যায়। সেখান থেকে দুপুর আড়াইটায় রওনা দেন। তবে এর আগে সকালে সেন্টমাটিন সার্ভিস ট্রলার নিয়ে কিছু পযটক দুপুরে টেকনাফে পৌঁছান বলে জানা গেছে।

একইদিন সকালে টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে বিআইডব্লিউটি এর অনুমতিতে ফরহান, আটলান্টিক ক্রুজ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন কিছু লোকজন নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে জাহাজগুলো ছেড়ে যায়। একই দিন বিকেলে এসব জাহাজে করে আটকাপড়া পর্যটকরা ফিরে আসেন।

ফেরত আসা সাইফুল জানান, আমরা একটু ভয়ে ছিলাম। তবে ছাত্রদের নিয়ে ফিরে এসেছি এইটা অনেক বড় বিষয়। তাদের হোটেল সমুদ্র সৈকতের পাশে হওয়ায় পানি ঢেউ কক্ষের পাশে চলে আসে। ফলে ভয়টা একটু বেশি লাগছিল। এখন ফিরে আশায় অনেক আনন্দন লাগছে।

ঢাকা মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে দ্বীপে বেড়াতে এসে আটকা পরেন মিনারা বেগম বলেন, ‘প্রথমবারের মত দ্বীপে এসেছিলাম।  কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর প্রভাবে গত তিন দিন আটকা পরেছি। ফলে সন্তানদের নিয়ে অনেক টেনশন করেছিলাম। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় সেন্টমার্টিনে সকালে পর্যটকবাহী তিনটি জাহাজ করে সেখানে আটকাপড়া পর্যটকদের ফেরত আনা হয়েছে। তারা সবাই ভাল আছেন।
ইউএনও বলেন, বলতে গেলে আসলে আমরা খুবিই উদ্বিগ্ন ছিলাম। অবশেষে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ইতি মধ্যে অনেকে নিজ নিজ বাড়ি রওনা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads