• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
নুসরাত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামিকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

নুসরাত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামিকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর

  • সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ নভেম্বর ২০১৯

আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে ফেনী জেলা কারাগার হতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের প্রিজন ভ্যানে করে ফেনী জেলা কারাগারর হইতে স্থানান্তর করা হয়।

যাদেরকে স্থানান্তর করা হয়েছে তারা হলেন- প্রফেসর আফসার উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামিম, নুর উদ্দিন, কাউন্সিলর মকসুদ আলম, মো. শামিম, ইমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা, শাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, সাইফুর রহমান যোবায়ের, আব্দুর রহিম শরিফ ও মহিউদ্দিন শাকিল হাফেজ আব্দুল কাদের।

ফেনী জেলা কারাগারের জেলার মো. দিদারুল আলম বলেন, সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জনকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয়  কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের কারা মহা পরিদর্শক(আইজি প্রিজন) নির্দেশে কুমিল্লা স্থানান্তর করা হয়েছে।  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রুহুল আমিন, সিরাজ উদদৌলাকে বিচারাধীন মামলা থাকায় আগামীকাল আদালতে হাজিরা শেষে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর করা হবে।  একই দিন কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপিকে চট্রগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হবে।

এদিকে আসামীদের কুমিল্লা স্থানান্তরের খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে থেকে তাদের আত্মীয় স্বজনরা ফেনী জেলা কারাগারের প্রধান ফটকের পাশে ভিড় করেন। তাদেরকে বুক চাপড়িয়ে ও মাটিতে গড়াগড়ি করে উচ্চস্বরে কাঁদতে থাকেন। তাদের সামলাতে কারাগারে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হিমসিম খেতে হয়। সকাল ১০টার দিকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের বহন করা প্রিজন ভ্যানটি কারাগারের ফটক থেকে বের হওয়া মাত্রই আসামিদের স্বজনরা সেটি ঘিরে আহজারি করতে থাকে। এসময় পুলিশ ও কারারক্ষীরা তাদের নিরাপদে সরিয়ে রাখে।

প্রিজন ভ্যানটি কারাগার থেকে বের হওয়ার পর আসামিদের স্বজনরা সংবাদ সংগ্রহ করতে কয়েকজন সংবাদ কর্মীকে গালিগালাজ করে তাদের দিকে জুতা নিক্ষেপ করেন। পরে কর্তব্যরত কারারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফেনী জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের বলেন, যেসব আসামির দীর্ঘমেয়াদি শাস্তি ও মৃত্যুদণ্ড হয় তাদের জেলা কারাগারে না রেখে নিরাপত্তাজনিত কারণে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর জন্য কারাবিধিতে নির্দেশনা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় কারাগারগুলোতে জনবল ও কনডেম সেলের সংখ্যা বেশি। তাদের পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন সব সেখানে রয়েছে। ফেনী জেলা কারাগারে কনডম সেল ও ফাঁসির কোনো মঞ্চ নেই, সেখানে সব রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads