• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে নেত্রকোনায় ৩ গুণীজনকে  সম্মাননা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জাতীয়

হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে নেত্রকোনায় ৩ গুণীজনকে সম্মাননা

  • নেত্রকোনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ নভেম্বর ২০১৯

কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭১ তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে নিজ জেলা নেত্রকোনায় ৩ গুণীজনকে সম্মাননা দিয়েছে হিমু পাঠক আড্ডা নামের এক সংগঠন।

গুণীজনরা হলেন- বুদ্ধিজীবী শিক্ষাবিদ যতীন সরকার, কবি হেলাল হাফিজ ও প্রবীন সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল।

বুধবার রাত আটটায় মোক্তারপাড়া প্রেসক্লাব হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

হিমু পাঠক আড্ডার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলপনা বেগমের সঞ্চালনায় সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী।

এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুনসী, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা প্রেসক্লাবের সদস্য সিনিয়র ফটো এডিটর বুলবুল আহমেদ।

সম্মানিত পুরস্কৃত প্রিয়জনদের মানপত্র পাঠ করেন কবি আব্দুর রাজ্জাক, সাইফুল্লাহ এমরান ও শিল্পী ভট্টাচার্য্য। পরে অতিথিরা সম্মননা ক্রেস্ট তুলে দেন।

এতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ মতীন্দ্র চন্দ্র সরকার, হুমায়ূন ভক্ত জেলা আনসার ভিডিপির পরিচালক জিয়াউল হাসান, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হয়দার জাহান চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওলা বিমল পাল, কবি স্বপন পাল, কবি নেহাল হাফিজ, মাসুম পারভেজ, রীনা পন্ডিত, চমন নাসরীন, জুয়েল রানসহ হুমায়ূন ভক্তরা।

বক্তারা বলেন, লেখকের নিজ জেলায় এমন অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মূল উদ্যেশ্যই হচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে সাহিত্য জীবন তুলে ধরে তাদেরকে উৎসাহিত করা। একজন ভালো মানুষ গঠন করতে হলে সাহিত্য চর্চা করতে হবে। সাহিত্য চর্চার মধ্য দিয়ে মানুষকে ভালোবাসতে হবে। হুমায়ূন আহমেদ তার লেখনি দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলেছিলেন। যা ইতিহাসে এক অনবদ্য সত্য। এমনটি অন্য কোন লেখক করে যেতে পারেননি। আমরা এমন গুণীজনদের স্মরণের মধ্য দিয়ে এক একটা কীর্তিমান মানুষ গড়ে তুলবো এই নেত্রকোনা জেলাতেই।

হুমায়ূন আহমেদের পৈত্রিক ভিটা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে হলেও মায়ের প্রথম সন্তান হওয়ায় তিনি মোহনগঞ্জের শেখ বাড়িতে ১৯৪৮ সনের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেছিলেন। সেদিন নানা একমণ মিস্টি বিতরণ করেছিলেন পুরো মোহনগঞ্জ শহরে। সেখানেই কেটেছিলো লেখকের শৈশব। আর সেই নানারবাড়ির অনেক ইতিহাস লেখকের বিভিন্ন বইয়ে তুলে ধরে মোহনগঞ্জকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সমগ্র বাংলায়। তার মতো আরো লেখক তৈরী করতে এই হিমু পাঠক আড্ডার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পরে স্থানীয় এবং ঢাকার শিল্পীরা হুমায়ূন আহমেদ রচিত গান পরিবেশন করেন।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads