• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী না পাঠানোর দাবি

ফাইল ছবি

জাতীয়

সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী না পাঠানোর দাবি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০১৯

শ্রমিকদের ন্যায্য ও যৌক্তিক আইনি সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সৌদি আরবসহ সব দেশে নারী গৃহকর্মী না পাঠানোর দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল নারী সংগঠনের নেতারা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর পল্টনের মুক্তি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানায়।  প্রগতিশীল নারী সংগঠনসমূহের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে নয় দফা দাবি জানানো হয়।

আগামী রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমাবেশ ও মিছিল করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন নারীনেত্রীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী বলেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব¡প্রাপ্ত শাখা প্রবাসী নারী গৃহশ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাদের অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে চরম উদাসীনতা দেখিয়েছেন ও দায়িত্বহীন ভূমিকা পালন করছেন। দেশে ফেরত আসা শ্রমিকরা এর বর্ণনা দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, এসব মর্মান্তিক ঘটনা ও মানবিক বিপর্যয়ের পরও আমরা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। বরং মন্ত্রণালয়সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সৌদি আরবে নিযুক্ত নারী কর্মীদের ব্যাপারে দায়িত্বহীন ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। যা একদিকে বিস্ময়কর, অন্যদিকে আপত্তিজনক।

প্রগতিশীল নারী সংগঠনসমূহের দাবি তুলে ধরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নারী দলের সমন্বয়ক কমরেড লক্ষ্মীরাণী চক্রবর্তী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে নারী শ্রমিক পাঠানো হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা, নিরাপত্তা নিশ্চিত, আইন ও বিধি অনুযায়ী উপযুক্ত মজুরি কার্যকরে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।গৃহকর্মী ও শ্রমিকদের শারীরিক-মানসিক অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকারের মধ্যে প্রয়োজনীয় দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর ও দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নিয়োগকর্তার নাম, বাড়ি ও কর্মস্থলের বিস্তারিত ঠিকানাসহ অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সব তথ্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ থাকা নিশ্চিত করতে হবে।
বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও কনস্যুলেটে অভিবাসী গৃহকর্মী নারী শ্রমিকদের অধিকার মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক ডেস্ক চালু করতে হবে এবং এ ব্যাপারে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের যেসব রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে নারী ও গৃহশ্রমিকদের পাঠানো হয় তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য, কী চুক্তি ও শর্ত নারী গৃহশ্রমিক বিদেশে পাঠানো হচ্ছে তা সুনির্দিষ্ট তথ্যাবলী আবশ্যিকভাবে মন্ত্রণালয়ে থাকতে হবে। প্রতারক রিক্রুটিং এজেন্টের লাইসেন্স বাতিলসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব নারী দেশে ফিরে এসেছেন তাদের আর্থিক সামাজিক ও পারিবারিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। ফেরত আসার নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads