রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০১৩-১৪ সালে এ অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে ট্রেন পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তেমনই কোনো সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনা স্থল ও ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেন পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আরো বলেন, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কসবায় কুয়াশা বা অন্য কোনো কারণে দূর্ঘটনটা হতে পারে। কিন্তু এখানে তো মিটারগেজের লাইন একটাই। মিটারগেজের লাইন মিটারগেজ ট্রেনই যাবে। এখানে স্টপেজও ছিল না-ক্রসিংয়েরও কোনো ব্যাপার ছিল না। এখানে ডিটেইলমেন্টটা হওয়ার কোন কথা ছিল নয়। লাইন ক্লিয়ার দেয়ার ব্যাপারে কারও কোন গাফিলতি আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পয়েন্টম্যানের দায়িত্বে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছে এরা অর্ধেক কাজ করে খেতে গিয়েছিল। এ ধরণের একটা অভিযোগও রয়েছে বলে জানান তিনি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে রেল মন্ত্রী বলেন, ইঞ্জিনের তেল থেকে ইঞ্জিনে আগুন লাগতে পারে। কিন্তু অন্য বগির ভেতরে কিভাবে আগুন লাগলো, এর পেছনে কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখা হবে।
উল্লাপাড়ার পর দুটি ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতুর ও রেল লাইনের ব্যাপারে তিনি বলেন, জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল লেন করা হবে। ইতিমধ্যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে দ্রুত সময়ে ঝূঁকিপূর্ণ রেলসড়ক সংস্কারের আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে রেলসচিব মোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ, উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি, নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান ও পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।