• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা আদায়ে মধ্যস্থতা না করার নির্দেশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৮ নভেম্বর ২০১৯

গ্রামীণফোনের (জিপি) কাছে বিটিআরসির পাওনা আদায়ে দেওয়া নোটিশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিতের জন্য করা আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে গ্রামীণফোনকে কোনো রকম মধ্যস্থতা না করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার আদালতে গ্রামীণফোনের আইনজীবী জানান, বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা থেকে শুধু ২০০ কোটি টাকা শর্তসাপেক্ষে পরিশোধ করতে চায় গ্রামীণফোন। তবে সেদিন এর বিরোধিতা করে বিটিআরসির আইনজীবী কোম্পানিটির কাছ থেকে 'পাওনা' আদায়ে বিটিআরসির নোটিশে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ স্থগিতের আবেদন জানান। এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য থাকলেও তা পিছিয়ে আগামী রোববার আদেশের দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তি দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি। কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে দুই অপারেটরকে নোটিশ পাঠানো হয়। এরপর বিটিআরসির দাবি করা টাকার অংক নিয়ে আপত্তি তোলে গ্রামীণফোন ও রবি। বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় দুই অপারেটর আদালতের দ্বারস্থ হয়। পরে অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক হলেও তাতে সফলতা আসেনি।

এরপর গ্রামীণফোনের টাইটেল স্যুট (স্বত্তের মামলা) মামলা নিম্ন আদালত গ্রহণ করেন। কিন্তু এর অধীনে বিটিআরসির দাবি আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন গত ২৮ আগস্ট খারিজ করে দেন। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে গ্রামীণফোনের আপিল গ্রহণ করে গত ১৭ অক্টোবর বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।

ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে বিটিআরসি। বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান তাতে সাড়া না দিয়ে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরপর ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিটিআরসি। আপিলের শুনানি নিয়ে গত ২৪ অক্টোবর আপিল বিভাগ জানতে চেয়েছিল, বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির মধ্যে গ্রামীণফোন ন্যূনতম কত টাকা দিতে পারবে। সেদিন গ্রামীণফোনের আইনজীবীদের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছিলেন।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস। আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads