• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
মুজিববর্ষ উদযাপন করবে ইউনেস্কো

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

মুজিববর্ষ উদযাপন করবে ইউনেস্কো

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ নভেম্বর ২০১৯

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি পালন করা হবে সারা দেশে। জাতির পিতাকে ঘিরে বিশেষ এই আয়োজনে সম্পৃক্ত হচ্ছে ইউনেস্কো। গতকাল বুধবার মুজিববর্ষ উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভায় এ তথ্য প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

প্রতিবছর জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস এবং ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার দিনটিকে স্মরণ করে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বছরটি এমনভাবে উদযাপন করা হবে যাতে সব শ্রেণি- পেশার মানুষ আরেকবার বঙ্গবন্ধুর অবদানকে গভীরভাবে স্মরণ করে। এ জন্য শহর থেকে প্রান্তিক পর্যায়ের সব মানুষকে বিবেচনা করে সাজানো হবে অনুষ্ঠান। তুলে ধরা হবে, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণের কথা। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ও নতুন প্রজন্ম যারা তাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর অবদান বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে। মহীরহূসম ব্যক্তির জন্মশতবর্ষ মানে আরো বিশেষ কিছু অবশ্যই। যা ইতিহাসে চিরস্থায়ী দাগ রেখে যেতে সক্ষম হতে পারে।

জানা গেছে, সরকার ইতোমধ্যে মুজিববর্ষ উদযাপনে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে। প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে। প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন এ সংক্রান্ত কমিটিতে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে প্রয়োজনের তাগিদে কমিটিতে সদস্য অন্তর্ভুক্তকরণ করা হচ্ছে। বর্তমানে কমিটিতে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা, সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ইতিহাসবিদ, সাবেক ও বর্তমান আমলা, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে একটি অস্থায়ী কার্যালয় করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কার্যালয়ে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিকে সাচিবি সহায়তা দিচ্ছে। 

জানতে চাইলে প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সম্প্রতি বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই মুদ্রার এপিট-ওপিট। এ কথা বলা মোটেও অত্যুক্তি হবে না। বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে যেমন বঙ্গবন্ধুকে চিন্তা করা যায় না তেমনি বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিলে অর্থহীন হয়ে পড়ে বাংলাদেশও। একথা তো ইতিহাসের অবিসংবাদী সত্য, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ বোধ করি অপূর্ণ ও অধরাই থেকে যেত। তাই মুজিববর্ষের বছরব্যাপী কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানমালা তেমনই জাঁকজমকপূর্ণ, আকর্ষণীয় ও আড়ম্বরপূর্ণ হবে। এ জন্য এখন যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads