• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা ১০ জানুয়ারি থেকে

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা ১০ জানুয়ারি থেকে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা শুরু হবে আসছে ১০ জানুয়ারি থেকে। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক মতবিনিময় সভায় উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী মাসের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস থেকেই ক্ষণগণনা শুরু হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষণগণনা কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। মতবিনিময় সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, মুজিববর্ষ উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে উদযাপন কমিটির প্রস্তুতিমূলক এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা শুরু হবে ৮ জানুয়ারি থেকে। আগের সিদ্ধান্ত বদল করে ১০ জানুয়ারি ক্ষণগণনার কথা ঘোষণা করা হয় গতকাল।

এদিকে ঢাকার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে মুজিববর্ষ উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে ইউনেস্কো। সম্প্রতি সংস্থাটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে ইউনেস্কোর সদস্যভুক্ত সব দেশে মুজিববর্ষ উদযাপিত হবে। 

২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। পরের বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শেখ রেহানাসহ ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। দুই কমিটিতে সমন্বয়ক করা হয়েছে সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে। আর বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি করা হয়েছে অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে। 

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ছাড়াও জাতীয় কমিটিতে রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, ঢাকার দুই মেয়র, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সাবেক দুজন গভর্নরসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে প্রয়োজনীয় নীতি পরিকল্পনা ও কর্মসূচি অনুমোদনের পাশাপাশি বাস্তবায়ন কমিটিকে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবে জাতীয় কমিটি। অন্যদিকে বাস্তবায়ন কমিটি সার্বিক পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন এবং জাতীয় কমিটির অনুমোদন নিয়ে তা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে।

এদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে একটি বিশেষ থিম সং তৈরির কাজ চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads