• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
আইসিজেতে সাক্ষ্য দিতে নেদারল্যান্ডস গেছে তিন নারীসহ ৪ রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প

প্রতিনিধির পাঠানো

জাতীয়

আইসিজেতে সাক্ষ্য দিতে নেদারল্যান্ডস গেছে তিন নারীসহ ৪ রোহিঙ্গা

  • কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯

ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) করা মামলায় সাক্ষ্য দিতে নেদারল্যান্ডস গেছে ৪ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার চেয়ে এ মামলা করা হয়। শনিবার কক্সবাজারের উখিয়া থেকে তিন নারীসহ চার জনের প্রতিনিধি দলটি নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশে রওনা হন।

এরা হচ্ছেন উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসিনা বেগম, সেতারা বেগম, সাজেদা বেগম ও ইউসুফ আলী। ভিকটিম হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে তারা সাক্ষ্য দেবেন নির্যাতিত এ চার রোহিঙ্গা। শুনানি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলও সেখানে উপস্থিত থাকবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল নেদারল্যান্ডস রওয়ানা দিয়েছেন ।’

এদিকে আর্ন্তজাতিক আদালতে বিচার পেতে গত শুক্রবার হতে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা গণহত্যার বিচার সঠিকভাবে পায় তার জন্য বিচার চলাকালিন সময়ে প্রতিদিন বিশেষ দোয়া মাহফিল পরিচালনার জন্য আহবান জানিয়েছে রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান হাফেজ আতাউল্লাহ জুনুনী। তিনি ৮ ডিসেম্বর এক অডিও বার্তায় এ আহবান জানান।

এ ছাড়া বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন অব ইউকে চেয়ারম্যান মি. টুং কি এক ভিডিও বার্তায় অনুরূপ আহবান জানান দেশ বিদেশে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের এটি একটি বড় অর্জন, যে গণহত্যার মত জঘন্য অপরাধের বিচারে মিয়ানমার ষ্টেষ্ট কাউন্সিলর অং সান সুচিকে মুখোমুখি করতে হচ্ছে।

টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মোস্তাফা কামাল বলেন , ‘ রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) করা মামলার শুনানি শুরু হতে যাচ্ছে। এটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সু-খবর। আশা করছি এ মামলায় আমরা জিতবো। এর ফলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পথ একধাপ এগিয়ে যাবে। ’

প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে। গাম্বিয়াও গণহত্যা সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ। এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর অল্প সময়ের মধ্যে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে আসে কমপক্ষে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে এদেশে অবস্থান করছিলেন আরও চার লাখের বেশী রোহিঙ্গা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads