• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সক্রিয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, নিষ্ক্রিয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

সক্রিয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, নিষ্ক্রিয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারের ইমেজ ম্লান হচ্ছে

  • মো. রেজাউর রহিম
  • প্রকাশিত ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রমান্বয়ে ম্লান হচ্ছে সরকারের অর্জন। পেঁয়াজের পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামই এখন ঊর্ধ্বমুখী। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে হাহাকার অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরসহ উল্লেখযোগ্য বড় বড় সফলতা সত্ত্বেও পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের মূল্য অযৌক্তিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ইমেজও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থতার মুখে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি প্রায় আড়ইশ টাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দৃশ্যত কোনো মাথাব্যথা নেই। সংকট মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেই কোনো জোরালো পদক্ষেপ। ফলে বাজারে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে সময় যত গড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষ ততই বাড়ছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিতে কোনো নিয়ন্ত্রণ আনতেই পারছে না সরকার। প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে সাধারণ ভোক্তাদের নাগালের বাইরে চলে গেলেও এবং এ পণ্যটি নিয়ে যারা কারসাজি করে দাম বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি যাতে কারসাজিকারী চক্রটি ভয় পায়। পেঁয়াজের পাশাপাশি শীতকালীন শাক-সবজির দামও বর্তমানে আকাশছোঁয়া। ভোক্তাদের অভিযোগ, কারসাজিকারক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ না নেওয়ায় অন্যান্য পণ্যের দামও বাজারে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে গেছে যে, ৪০ টাকা থেকে বেড়ে দেশি পেঁয়াজ এখনো ২২০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে পণ্যমূল্য  নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বেশ অপ্রতুল। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবের মধ্যেও পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য তৎপরতা দেখা যায়নি। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এই দুই কর্তাব্যক্তির কথাবার্তায় মনে হয় সবকিছু স্বাভাবিক চলছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দাবি করেছেন, তার মন্ত্রণালয়ে তেমন কোনো স্থবিরতা নেই, স্বাভাবিকভাবেই চলছে সব।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান মেয়াদের সরকারের প্রায় এক বছর হতে চলছে। এই স্বল্পসময়ে সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি নিজ দলের ভেতরে শুদ্ধি অভিযানে অবৈধ পথে অঢেল অর্থবিত্তের মালিক বনে যাওয়া দলীয় অসৎ নেতাকর্মী ও দুর্বৃত্তচক্রের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ওইসব অসৎ নেতাকর্মীর অনেকেরই ঠিকানা এখন কারাগার। চলমান এ শুদ্ধি অভিযান সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারের ইমেজও অনেক বৃদ্ধি করেছে। এ ছাড়া দেশব্যাপী ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর, মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবকল্যাণ, যোগাযোগ অবকাঠামোর প্রভূত উন্নয়ন, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন উন্নয়মমূলক মেগা প্রকল্পের কাজ সফলভাবে সম্পন্নের দিকে এগিয়ে যাওয়াসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যাপক বিস্তার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ দেশের মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার  নেতৃত্বাধীন সরকারের ইমেজ  ইতিবাচকভাবে বৃদ্ধি করেছে।

তবে সরকারের ব্যাপক সাফল্যের মধ্যে ব্যতিক্রম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নিষ্ক্রিয়তা থেকে বের হতে পারছে না এ মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যখন সারা দেশে নীরব অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে, সে সময়েও এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিবের মধ্যে পণ্যমূল্যের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি নিয়ে কোনো উদ্বেগ এবং অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়নি। মন্ত্রী গণমাধ্যমের সঙ্গে একটু-আধটু কথাবার্তা বললেও সচিব তার ধারে-কাছেও নেই, বন্ধ করে রাখেন মন্ত্রণালয়ের তার কক্ষের দরজা। সাংবাদিকরা পণ্যমূল্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন করলে  জবাব এড়িয়ে যান বেশ সুকৌশলে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যবসায়ী টিপু মুনশিকে। সরকারের আগের মেয়াদে এ দায়িত্ব পালন করেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে টিপু মুনশি দায়িত্ব পাওয়ার পর সফল হবেন— এমনটাই প্রত্যাশা ছিল নীতিনির্ধারকদের। টিপু মুনশি তার যোগ্যতা-মেধা দিয়ে সংকট মোকাবেলা করতে পারেননি এবং তার মন্ত্রণালয় সরকারের উন্নয়নের ধারায় তাল মেলাতে পারছে না। এ ছাড়া সরকারের গণমুখী ও জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপের বাস্তব প্রতিফলন তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে নেই। ‘বাণিজ্যমন্ত্রী নিজে ব্যবসায়ী বিধায় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারছেন না’— এমন গুঞ্জন চলছে চারদিকে।

উল্লেখ্য, প্রায় দুমাস আগে ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার অজুহাতে বাংলাদেশে ৩৫-৪০ টাকা কেজির পেঁয়াজ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে প্রথমে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে পৌঁছায়। বাজার ঠিক রাখেতে সরকারের নানা উদ্যোগের মধ্যেও লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তেই থাকে পেঁয়াজের। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘খুব দ্রুতই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে’, ‘আগামী সপ্তাহেই পেঁয়াজের দাম কমে আসবে’ জাতীয় কথাবার্তা বলা হলেও বাস্তবে সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে তুরস্ক, মিয়ানমার, মিসরসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির হাঁকডাকের  মধ্যেই ৮০ এবং ৯০ টাকার পেঁয়াজ কয়েকদিনের ব্যবধানে পৌঁছায় ১২০ টাকায়। এর পর আরো এক ধাপ বেড়ে দাম ওঠে ১৫০ টাকায়। বর্তমানে রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকায়। ফলে পেঁয়াজের দাম নিয়ে ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে দেশের সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ এ অবস্থায় অনেকটা দিশেহারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের নিত্যপণ্যের অন্যতম পেঁয়াজের দাম এখন পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বেশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় ১৬০ টাকা, পাকিস্তানে ১৪০ টাকা আর ভারতে ১০০-১২০ বিক্রি হচ্ছে টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ। আর বাংলাদেশে এখন খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২২০-২৪০ টাকা। অবশ্য পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম এর চেয়ে সামান্য কম। পেঁয়াজের বাজার ঠিক রাখতে মিসর, তুরস্ক ও মিয়ানমার থেকে আমদানি সত্ত্বেও দাম কমাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।

বিষয়টি নিয়ে সরকারের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের ভেতরেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকেও বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই চামড়ার কারসাজির পর পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার বিষয়ে মন্ত্রীর অদক্ষতার দিকে ইঙ্গিত করছেন। এছাড়া সংকটকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংকট মোকাবেলা না করে বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের  বলেন, আমি সরকারের একজন মন্ত্রী। কোনো মন্ত্রণালয়ের স্থবিরতা বা সাফল্য নিয়ে মন্তব্য করা শোভন নয়। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের সফল্য-ব্যর্থতা নিরূপণ করার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন মন্ত্রিসভায় কাকে রাখবেন, কাকে রাখবেন না।  প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

তবে মন্ত্রণালয়ের নিষ্ক্রিয়তা স্বীকার করতে রাজি নন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বাংলাদেশের খবরকে বলেন, তার মন্ত্রণালয় স্বাভাবিকভাবেই চলছে। তবে তার দাবি, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে যা হয়েছে, তা কারসাজি নয়। সংকটের সময় ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের দেশে এর মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ সুযোগ নিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছেন। ‘নিজে ব্যবসায়ী এজন্য কি অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না’— এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা  অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার ব্যবসায়ীকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে আগামী বছর থেকে ভারতের ওপর আমরা নির্ভরশীল হয়ে থাকব না। নিজেদের উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া এবং সারা বছর উৎপাদন করা যায় এমন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া সংকট মোকাবেলায় সম্প্রতি মিসর, তুরস্ক থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ আমদানি করে টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া বন্দরে ৫ হাজার টন পেঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। 

টিপু মুনশি বলেন, মানুষের শেখার কোনো শেষ নেই, আমি ব্যবসায়ী ছিলাম। সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী হয়েছি, আমার অভিজ্ঞতায় একটু ঘাটতি থাকতেই পারে। তবে এখন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। 

ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, ভারতীয় পেঁয়াজ না আসায় দাম বাড়লেও পেঁয়াজ সিন্ডিকেটেকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিষ্ক্রিয়তা অনেকাংশে দায়ী। সংকট মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ের যত হাঁকডাক, তা শুধু ঘোষণা আর কাগজে-কলমে। বাস্তবে পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে এখন বিষয়টি নিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর কোরবানির চামড়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজির বিষয়ে টিপু মুনশি বলেছিলেন, ব্যবসায়ীরা কথা দিয়ে তা রাখেননি। এর পর নিত্যপণ্য, শাক-সবজি, চাল, ডাল, তেল এবং সর্বশেষ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কাছে ধরাশায়ী হন ব্যবসায়ীবান্ধব এই মন্ত্রী।

বিশ্লেষকদের মতে, নিজে ব্যবসায়ী হওয়ায় পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নিতে পারেননি তিনি। এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করলেও এ নিয়ে তার মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য ভূমিকাও লক্ষ করা যায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads