• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
চালের দামও ফের বাড়ল

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

চালের দামও ফের বাড়ল

তেল চিনি ডালের দাম আগেই বেড়েছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ জানুয়ারি ২০২০

খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে অন্যতম প্রধান তেল, চিনি, ডালের দাম আগেই বেড়ে রয়েছে। শেষ সপ্তাহে আবার বাড়ল জনগণের অপরিহার্য খাদ্যবস্তু চালের দামও। রাজধানীর বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। নতুন বছরের শুরুতেই দফায় দফায় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে জনগণ। খিলগাঁও নতুনবাগ এলাকায় আজিজ মোল্লা বলেন, বাজারে কী শুরু হলো বোঝা যাচ্ছে না। যে পণ্যের দাম বাড়ে আর সেটা কমে না। আর প্রতিদিন সেই তালিকায় নতুন নতুন পণ্য যোগ হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকায় দিন দিন সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।

শুধু রাজধানী নয় সারা দেশেই সব ধরনের চালের দাম কেজিতে অন্তত দুই টাকা করে বেড়েছে। আর রাজধানীতে ৫ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, এক সপ্তাহ আগে সরু চালের কেজি ৪৫ থেকে ৬০ টাকা ছিল, এখন সেটা ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এর মানে হলো, তুলনামূলক কম দামি সরু চাল কেজিতে ৫ টাকা বাড়তি। অন্যদিকে মাঝারি ধরনের চাল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ছিল, যা এখন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায় উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারি বাজারে এখন সরু মিনিকেট চাল ৪৪ থেকে ৪৭ টাকা, মাঝারি বিআর-২৮ জাতীয় চাল ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা ও মোটা চাল ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল কিছুদিন আগে প্রতি কেজি ২৬ টাকায় নেমেছিল, সেটা এখন ২ টাকা বেড়ে ২৮ টাকা হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের মেহেদী রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী ফিরোজ হোসেন বলেন, গত বোরো মৌসুমের চাল এখন শেষদিকে। নতুন মৌসুমের চাল না আসা পর্যন্ত এখন দাম বাড়বে। 

এদিকে কয়েক সপ্তাহ পর যারা গত দু’একদিনে বাজারে গিয়েছিলেন তারা যথারীতি অন্যান্য পণ্যের দাম দেখে চমকে গেছেন। কারণ প্রতি কেজি খোলা সয়াবিনের দাম এখন ১০০ টাকা পেরিয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়েছে। এখন এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১১০ টাকা।

এমন পরিস্থিতিতে পাম বা সুপার পাম কিনবেন? তাতেও লাভ নেই। এক কেজি খোলা পাম তেলের দাম ৯০ টাকা আর সুপার পাম ৯৫ টাকা। যদিও সাধারণ সময়ে এসব তেল ৭৫ থেকে ৮২ টাকার মধ্যে থাকত। সঙ্গে প্যাকেটজাত চিনির দাম বাড়ানো হলো কেজিতে ৭ টাকা। একইভাবে খোলা চিনি এখন ৬৫ টাকায় উঠেছে, যা গত মাসে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা ছিল।

এখানেই শেষ নয়, খুচরা বাজারে মোটা দানার (অস্ট্রেলিয়ার) মসুর ডালের দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাবে দেশি ডালও ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়তি বিক্রি করতে দেখা গেছে। এখন প্রতি কেজি মোটা দানার ডালের দাম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা আর দেশি ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। 

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বাজারে চালের দাম এক মাসের ব্যবধানে ৪ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মাঝারি মানের চালগুলোর দাম। এ ছাড়া বাজারে বছর ব্যবধানে ভোজ্যতেলের দাম এখন ২৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। চিনির দাম বেড়েছে ২৪ শতাংশ আর ডালের ১৯ শতাংশ।

তবে বাজারে এখন কিছুটা স্বস্তি শুধু সবজিতে। পাইকারি বাজারে সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। এতে প্রতি কেজি শিম, বেগুন, মুলা, নতুন আলু, টমেটো, শালগম, পেঁপে ৫০ টাকার মধ্যে কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় শীত ও বৃষ্টি কম হওয়ায় সবজির সরবরাহ অনেক বেশি। তাই পাইকারি বাজারেও দাম কম। সরবরাহ এমন থাকলে দু’একদিনের মধ্যে সবজির দাম আরো কমবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads