• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
গণতন্ত্র সূচকে ৮ ধাপ অগ্রগতি

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

গণতন্ত্র সূচকে ৮ ধাপ অগ্রগতি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ জানুয়ারি ২০২০

গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের আট ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। স্বনামধন্য ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সবশেষ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ও দুটি ভূখণ্ডের এ সূচকে গত বছর ৮৮তম অবস্থানে থাকলেও এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৮০তম। গতকাল বুধবার ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করে। ২০০৬ সাল থেকে এ সূচক প্রকাশ করে আসছে তারা।

পাঁচ মানদণ্ডে একটি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১০ ভিত্তিক এ সূচক নির্ধারণ করা হয়। এগুলো হলো নির্বাচন ব্যবস্থা ও বহুদলীয় পরিস্থিতি, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার। প্রতি সূচকের পূর্ণমান ধরা হয় ২। সব সূচক মিলিয়ে কোনো দেশের গড় স্কোর ৮-এর বেশি হলে সেদেশে পূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়। স্কোর ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে হলে সেটাকে চিহ্নিত করা হয় ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র হিসেবে। আর স্কোর ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে হলে মিশ্র শাসন (হাইব্রিড রেজিম) ধরে নেওয়া হয়। স্কোর ৪-এর নিচে হলে সে দেশে স্বৈরশাসন চলছে বলে ধরা হয়।

আট ধাপ অগ্রগতি সত্ত্বেও সূচকে এবারো বাংলাদেশের অবস্থান

গতবারের মতোই মিশ্র ক্যাটাগরিতে। এবার বাংলাদেশের স্কোর ৫.৮৮। ২০১৯ সালে স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৫৭। তার আগের বছর ছিল ৫ দশমিক ৪৩। মিশ্র ক্যাটাগরিতে স্থান পায় সেদেশগুলো- যেখানে নিয়মিত নির্বাচন হলেও তা অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় না, বিরোধী দল এবং বিরোধী প্রার্থীদের ওপর দমনপীড়ন, দুর্নীতি এবং দুর্বল আইনের শাসনের ভিত্তিতে শাসন পরিচালিত হয়। পাশাপাশি দুর্বল নাগরিক সমাজ, পক্ষপাতমূলক বিচারব্যবস্থা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত থাকে।

নতুন সূচকে প্রতিবেশী ভারত ১০ ধাপ পিছিয়ে ৫১তম অবস্থানে (৬ দশমিক ৯০ স্কোর) রয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভারতের এ পতনের পেছনে ক্ষয়িষ্ণু নাগরিক স্বাধীনতাকে প্রাথমিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হচ্ছে, ভারতে নাগরিকদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়টি মূলত সামনে এসেছে গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর।

এছাড়া আসামের নাগরিকপঞ্জিও (এনআরসি) এতে ভূমিকা রেখেছে। চূড়ান্ত তালিকা থেকে রাজ্যটির যে ১৯ লাখ নাগরিক বাদ পড়েছে, তার অধিকাংশই মুসলিম। ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের দাবি, বাদ পড়াদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি অভিবাসী। যদিও বাংলাদেশ শুরু থেকেই ভারতের দাবি নাকচ করে আসছে। এরপর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠীর ক্ষোভ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। যার প্রভাবে ভারতের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দেয় এবং কয়েকটি শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভও হয়।

নতুন গণতন্ত্র সূচকে একেবারে তলানির দিকে রয়েছে চীন। সংখ্যালঘুদের দমনের মাত্রা বাড়তে থাকা দেশটির অবস্থান ১৫৩ স্থানে (স্কোর ২.২৬)। মুসলিম নাগরিকদের ধরপাকড় আর নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করার মতো ঘটনার ব্যাপকতার কারণে চীনের পয়েন্ট কমাতে ভূমিকা রেখেছে। তবে ২০১৯ সালে সার্বিকভাবে বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকের স্কোরও কমেছে। ২০১৮ সালে এ স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৪৮। ২০১৯ সালে তা কমে ৫ দশমিক ৪৪ হয়েছে। ২০০৬ সালে সূচক প্রকাশের পর থেকে এটাই সবচেয়ে বাজে স্কোর।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads