• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
বিজয়ের প্রথম স্বাদ পাওয়ায় খুশি রোহিঙ্গারা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জাতীয়

ইসিজে’র রায়

বিজয়ের প্রথম স্বাদ পাওয়ায় খুশি রোহিঙ্গারা

  • মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জানুয়ারি ২০২০

নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিজে’র মামলার অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে খুশি রোহিঙ্গারা। দাবিকৃত ছয়টির মধ্যে চারটি তাদের পক্ষে আসায় প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা। এ রায়ে প্রতিক্রিয়া দেশ বিদেশের রোহিঙ্গা নেতারা সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছে। তবে অনেকে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কারার দাবি জানিয়ে এই রায়ে অং সান সুচির লজ্জা পাওয়া উচিত।      

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন চারটি আদেশ দিয়েছেন আইসিজে। সেগুলো হচ্ছে, শাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে অং সান সু চি-র যুক্তি খারিজ করা হয়েছে, মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা রোধে সব ব্যবস্থা নিতে হবে, মিয়ানমারকে অবশ্যই ধ্বংস রোধ করতে হবে এবং সম্পর্কিত প্রমাণ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে, মিায়ানমারকে আজ থেকে ৪ মাসের মধ্যে এবং কেস বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।  

একই দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফের লেদা ,শালবন নয়াপাড়া ও লেদা রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখা যায় সেখানে আইসিজে গাম্ময়িার করা মামলায় রায় দেখতে প্রত্যাক ক্যাম্পে ছোট ছোট দোকানে টিভি ও রেডিওতে খবর দেখতে ব্যস্ত ছিল রোহিঙ্গারা।

এ সময় টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুল হামিদ বলেন, ‘আইসিজে দেওয়া রায় নিয়ে আমরা অনেক খুশি, এইটি মাত্র শুরু। মনে হচ্ছে এইটি বিচারের প্রথম স্বাদ। তাছাড়া এই রায় দ্রুত বাস্তায়ন দেখতে চাই। কিন্তু প্রত্যাবাসনের বিষয়টি যদি সামনে আনা যেতো তাহলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করা যেতো।’  

বার্মিজ রোহিঙ্গা অরর্গানাইজেশন (ইউকে) প্রধান থুন কিং বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যামে মিয়ানমার আরো বেশি চাপে পরবে। কেননা এই মামলাতে মিয়ানমার স্টেষ্ট কাউন্সিলর প্রধান অং সান সুচি নিজে উপস্থিত ছিলেন। যদি বা বিভিন্ন সময়ে স্বাধীন তদন্ত প্যানেলের নামে বার বার রোহিঙ্গাদের উপর পরিচালিত গণহত্যার ঘটনাগুলো এড়িয়ে গিয়ে সরকারি বাহিনীকে রক্ষা চেষ্টা করছে।

রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সাধারন সম্পাদক মাস্টার সৈয়দ উল্লাহ বলেন, ছয়টির দাবির মধ্যে চারটি আমাদের পক্ষে এসেছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে অং সান সু চি-র যুক্তি খারিজ করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে সেখানে গণহত্যা হয়েছে। এজন্য রায়ের দিন সু চি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এই থেকে সুচির লজ্জা পাওয়া উচিত। তবে প্রত্যাবাসনের বিষয় নিয়ে যদি আলোচনা করলে তাহলে আরো ভাল হতো।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে শূন্য রেখা রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘আইসিজে রায়ে খুশি, এটি রোহিঙ্গা জনগোষ্টীর জন্য প্রথম জয়। কেননা যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নির্যাতনের স্বীকার হলেও কোন বিচায় পায়নি। ফলে এই রায়ে যেন মনে হচ্ছে প্রথম বিচারের স্বাদ পেয়েছি।’

এদিকে রোহিঙ্গা ওমেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি প্রতিষ্টাতা এডভোকেট রাজিয়া সুলতানা গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘এইটা মাত্র শুরু, এই রায়ে স্বপ্ন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’  

কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘আইসিজে’র ঘোষিত রায়ের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পে নজরদারি রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads