• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
‘রাজনীতিবিদরাও বেপরোয়া’

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

‘রাজনীতিবিদরাও বেপরোয়া’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি ২০২০

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গাড়িচালকদের মতো রাজনীতিবিদরাও বেপরোয়া। রাজনীতিবিদদের কথামালা ফরমালিনের বিষের চেয়েও ভয়ংকর। তাদের কথার কারণে সংঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। জানি না কবে ধৈর্যের কাছে, শৃঙ্খলার কাছে ফিরব। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক ড্রাইভিং স্কুলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১১ জন নারী গাড়িচালকের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নারীরা ঠান্ডা মাথায় গাড়ি চালায়। এজন্য তাদের চালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। বিআরটিসিতে অনেক সিন্ডিকেট, তার পরও চেষ্টা করব নারীচালক নিয়োগ দিতে। যারা সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন নয়, তাদের সচেতন করতে হবে।

চালক সড়কে বেপরোয়া, পথচারীও তেমন বেপরোয়া। কে কার কথা শোনে। আইন না মানার যে প্রবণতা দেশে তা কবে যে শেষ হবে। আমরা সবাই সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু সড়কে তো শৃঙ্খলা নেই। মানুষ হামাগুঁড়ি দিয়ে আইল্যান্ড পার হচ্ছে। মা সন্তানকে নিয়ে সড়ক পার হচ্ছে। অথচ পাশেই ফুটওভার ব্রিজ। কে কাকে বোঝাবে!

রাজধানীর সিটিং সার্ভিস হচ্ছে চিটিং সার্ভিস। গণপরিবহন নিয়ে এত কাজ হচ্ছে, তারপরও ফলাফল আসছে না। বিআরটিসিতে শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। তাই বিআরটিসি লাভের মুখ দেখে না। এ সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা কঠিন। তবু চেষ্টা করছি বাধার প্রাচীর ভাঙার। হতাশ হবো না, যদিও হতাশ হওয়ার মতো অনেক কারণ রয়েছে। সড়কে প্রতিনিয়ত মানুষ মরছে। মন্ত্রী হিসেবে আমি দায় এড়াতে পারি না। অনেক পরিবার সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ প্রান্তিক মানুষ ছিলেন, শেকড়ে নিয়ে যেতেন ব্র্যাকের কার্যক্রম। তিনি জাতিকে অনেক কিছু দিয়েছেন। তার অবদান চিরস্মরণীয়। বেঁচে থাকলে তিনি আরো অনেক কিছু দিতেন। শেকড়ের অনুসন্ধানে ব্র্যাকের যে ইতিহাস, ড্রাইভিং স্কুলে সে ধারা অব্যাহত রাখা হবে। ব্র্যাকের উদ্যাগে এগিয়ে নিতে সরকার সহযোগিতা করবে। রোড সেফটির জন্য বিশ্বব্যাংক টাকা দেওয়ার কথা, কিন্তু কবে দেবে জানি না। আমরা আশা করব বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। 

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আখতার বলেন, ব্র্যাকের নারীচালক তৈরির উদ্যাগ সত্যিই প্রশংসনীয়। ব্র্যাক ড্রাইভিং স্কুল যে কাজ করছে, এটা নারীদের স্বাবলম্বী করতে অনেক বড় হাতিয়ার। ব্র্যাকসহ অন্য সংগঠন পেশাদার চালক তৈরিতে এগিয়ে এসেছে, এটা নারীর ক্ষমতায়নে বড় পদক্ষেপ। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে নারীরা এখন গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। ড্রাইভিং পেশায় নারীরা এগিয়ে এলে সড়ক দুর্ঘটনার সংকট কাটিয়ে উঠবে। নারীদের বৈষম্যের জায়গাটা খুঁজে বের করতে হবে। ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন ও সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক আহমেদ নাজমুল হোসাইন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads