• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
রডের বাজারে অস্থিরতা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

রডের বাজারে অস্থিরতা

টনপ্রতি দাম বেড়েছে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত

  • নাজমুল হুসাইন
  • প্রকাশিত ২৭ জানুয়ারি ২০২০

মৌসুম শুরু হতে না হতেই বেড়ে চলেছে ভবন নির্মাণের প্রধান উপকরণ রডের দাম। ভালো মানের রডের দাম তুলনামূলক কিছুটা কম বাড়লেও সাধারণ মানের রডের দাম বেড়েছে বেশি। এতে প্রতি টন ৪০ গ্রেডের রড কয়েক দফা বেড়ে এখন এক মাসের ব্যবধানে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এতে বেশ চাপে পড়েছেন নির্মাণ খাতের ব্যবসায়ীরা। কারণ দাম বাড়ায় তাদের নির্মাণ ব্যয় বাড়বে এবং ফ্ল্যাটের দামের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এর থেকেও বেশি চাপে পড়েছে মধ্যবিত্তরা, যারা এখন নির্মাণকাজ করছে। কারণ সাধারণ মানের রডের বড় ক্রেতা তারাই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪ গ্রেডের প্রতি টন রডের দাম এখন মানভেদে ৫৯ থেকে ৬১ হাজার টাকা, যা মাস খানেক আগেও  বিক্রি হয়েছে ৫১-৫৫ হাজার টাকায়। তবে এতটা বাড়েনি ভালো মানের ৬০ গ্রেড রডের দাম। এ রড মাসের ব্যবধানে দুই দফায় প্রতিটন ৩ হাজার টাকা বেড়েছে। এই গ্রেডের ১ টন রড বিক্রি হচ্ছে ৬২ হাজার ৫০০ টাকায়। যা আগেও ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় ছিল।

এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ বলছে, এক মাসের ব্যবধানে ৪০ গ্রেডের রডের দাম বেড়েছে ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর ৬০ গ্রেডের ৩ শতাংশ। কেন দাম বাড়ছে-এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও শাহরিয়ার স্টিল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুল আলম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, কোম্পানিগুলোকে বাড়তি দামে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। রডের প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপ আমদানির খরচ টনপ্রতি ৩০০ ডলার থেকে বেড়ে ৪৩৫ ডলার হয়েছে। এছাড়া সরকারকে বাড়তি ট্যাক্স দিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আবার কাঁচামাল আমদানিতে আগাম কর দিতে হচ্ছে। এ খরচগুলো সমন্বয় করলে রডের দাম আরো বাড়বে। এখনো দাম সেভাবে বাড়েনি। আমরা লোকসানে রয়েছি।

ইস্পাত খাতের আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেছেন, বাজেটে কাঁচামাল ও উৎপাদন থেকে বিক্রয় পর্যায়ে ভ্যাট ও অগ্রিম আয়কর দিতে হচ্ছে। এরপর আবার গত বছর গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করায় রড উৎপাদনে বাড়তি খরচ হচ্ছে। উৎপাদন খরচ সমন্বয় করার জন্য রডের দাম আরো বাড়বে। একবারে দাম বৃদ্ধি করলে ভোক্তারা বড় ধরনের ধাক্কা খাবেন, তাই দাম বাড়ানো হবে কয়েক ধাপে-এমন ইঙ্গিতও দিচ্ছেন অনেকে।

এদিকে গত বাজেট বাজেট ঘোষণার পর মিল মালিকরা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ভ্যাটের হার ৫৪৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বাজেটে। এছাড়া বাজেটে রডের কাঁচামাল স্ক্র্যাপ, বিলেট ও রড বিক্রিতে টনপ্রতি ৩ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এজন্য টনপ্রতি রডে দাম আগের তুলনায় ১০ হাজার ৯২৫ টাকা দাম বাড়বে।

গতকাল রাজধানীর বড় নির্মাণসামগ্রীর বাজার পুরান ঢাকার নর্থ সাউথ রোড ও নয়াবাজারে রডের খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেল, অধিকাংশ দোকানেই রডের মজুত তুলনামূলক কম। হাতেগোনা দু-চারটি ছাড়া অধিকাংশ দোকানে ক্রেতাও নেই। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিল মালিকেরা রড দিচ্ছেন না। বিশেষ করে সাধারণ মানের রডের সরবরাহ খুবই কম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads