• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ডে-কেয়ারে শিশুর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

ডে-কেয়ারে শিশুর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি ২০২০

শিশুর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা শাস্তির বিধান রেখে দেশের নারীদের কর্মে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন, ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া মন্ত্রিসভায় ৫৫টি ধারা সংযুক্ত করে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সব বিমানবন্দর, স্থল ও নৌ-বন্দরগুলোতে বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের খসড়ায় নিবন্ধন না করে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া সনদ প্রদর্শন না করা পর্যন্ত  প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। নিবন্ধন পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। তিন বছরের জন্য নিবন্ধন দেওয়া হবে। অন্যসব বিষয় বিধি দিয়ে বিস্তারিতভাবে বলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এছাড়া আইনটিতে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে বাধা দিলে ৫০ হাজার টাকা এবং দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুর নিরাপত্তা ঘাটতি থাকলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। 

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আইনটির প্রয়াজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেন, শিশুদের পরিচর্যার জন্য দেশে বিশ্বস্ত সহায়ক সেবাযত্ন কেন্দ্রের অভাব পরিলক্ষিত হওয়ায় এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যেহেতু এখন যৌথ পরিবার প্রথাটা একটু কমে আসছে এবং নারীরা বেশি বেশি হারে কাজে নিযুক্ত হচ্ছেন সেজন্য তাদের ছোট শিশুদের দেখাশোনা করার জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন হচ্ছে। প্রস্তাবিত এ আইনে চার ধরনের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এগুলো হলো-সরকারি ভর্তুকিপ্রাপ্ত; সরকার অথবা সরকারি কোনো দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা অথবা কোনো স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কর্তৃক বিনামূল্যে পরিচালিত; ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত এবং ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা বা সংঘ বা সমিতি বা করপোরেট সেক্টর বা শিল্প খাত কর্তৃক অলাভজনক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।

তিনি বলেন, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের সেবা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, সুরক্ষা, বিনোদন, শিক্ষা, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বা অনুরূপ বিষয়গুলোর নির্ধারিত মান বিধি দিয়ে নিশ্চিত করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য আলাদা জায়গা রাখতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্যও দিবাযত্ন কেন্দ্রে বিশেষ অবকাঠামো সুবিধা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং  বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য দুটি আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুটি খসড়া আইনে ৫৫টি ধারার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও সংজ্ঞা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলোর মধ্যে ৯ ধারায় মহামান্য আচার্য, ১০ থেকে ১১ ধারায় উপাচার্য, ১২ ধারায় উপ-উপাচার্য, ১৩ ধারায় কোষাধ্যক্ষ, ১৮ থেকে ২০ ধারায় সিন্ডিকেট, ২১ থেকে ২২ ধারায় একাডেমিক কাউন্সিল, ২৯ থেকে ৩০ ধারায় অর্থ কমিটি সম্পর্কিত বিধান সন্নিবেশিত আছে। এছাড়া আইনের আলোকে ২১টি অনুচ্ছেদ সংবলিত বিশ্ববিদ্যালয়েরর প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads