• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
পাচার হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদের ধাতব খনিজ বালি

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

পাচার হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদের ধাতব খনিজ বালি

  • প্রকাশিত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আনোয়ারুল ইসলাম, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) 

বহ্মপুত্র বক্ষে ধারণকৃত উজান থেকে বয়ে আসা খনিজ বালি চিলমারী থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে যাচ্ছে। একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট প্রভাব খাটিয়ে কোটি টাকার বালি বিক্রি করে দিচ্ছে। মূলবান খনিজ বালি ব্যবহূত হচ্ছে বাড়ির ভিটা উঁচুকরণ, মাঠ, পুকুর ভরাট ও রাস্তার নির্মাণকাজে।

জানা গেছে, গত বছর বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদের বালি চরে স্তূপ করে রাখে একটি সিন্ডিকেট। এখন তারা খনিজ কালো বালি স্থানীয় শ্রমিকদের মাধ্যমে ব্যাগে ভরে ট্রাকযোগে অন্যত্র পাচার করছে। স্থানীয় প্রশাসন বালি উত্তোলনের নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ওই সিন্ডিকেট তা মানছে না।

সূত্র মতে, উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশ্বমানের খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপের ওপর ভিত্তি করে ২০০৭ সালে ব্রিটিশ কোম্পানি পিএলসি তখন চার মাসব্যাপী চিলমারী ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় অনুসন্ধান চালিয়ে মূল্যবান ধাতব খনিজ সম্পদের সন্ধান পায়। ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠান চিলমারী এলাকার ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় প্রায় ৩৯৮৭ হেক্টর জমিতে ২৪টিরও অধিক স্থানের ১৫০ ফুট মাটির গভীর থেকে বালু সংগ্রহ করে কক্সবাজার অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনে নিয়ে গবেষণা চালায়। তাদের ধারণা, এ এলাকায় যে আট ধরনের খনিজ পদার্থ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তা অস্ট্রেলিয়ার নর্থ স্ট্যান্ডব্রোক দ্বীপে যে খনিজ সম্পদ রয়েছে তার চেয়ে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় সংরক্ষিত খনিজ সম্পদ ০.৫ শতাংশ বা তদূর্ধ্বে লাভজনক হওয়ার ধারণা করেছেন। তারা আরো ধারণা করেন, গোটা পৃথিবীতে প্রভেন গানের্টর সংরক্ষণ ৬৭ মিলিয়ন টন, সেখানে শুধু ব্রহ্মপুত্র অববাহিকাতেই রয়েছে ৬৮ মিলিয়ন টন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেছেন, কুড়িগ্রামেই লুকিয়ে রয়েছে দেশের বৃহৎ খনিজ পদার্থের বিশাল মজুদ, যা কক্সবাজারের টেকনাফের মজুদকৃত খনিজ বালির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। শুধু তাই নয়, এই খনিজ বালির মজুদ বিশ্ব সেরা খনিজ বালির মজুদের সমতুল্য। এটা হতে পারে দেশের অর্থনীতির একটি বিশাল সাফল্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads