• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যাংকে লেনদেন দুপুর ১২টা পর্যন্ত

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

সাধারণ ছুটি 

ব্যাংকে লেনদেন দুপুর ১২টা পর্যন্ত

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৪ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পাঁচ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও, এ সময়ে ব্যাংকের সব শাখা খোলা থাকা ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে এসময় লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

আর ব্যাংকার ও অন্যান্য কর্মীদের অবশ্য অফিস করতে হবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। 

বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হবে বলে জানিয়েছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি।

নতুন সময়সূচী কার্যকর হবে রোববার থেকে। বর্তমানে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন হয়। কর্মীদের অফিস করতে হয় ৪টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু ফরাহ মো. নাছের সমকালকে বলেন, ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে সীমিত সময়ে লেনদেন চলবে।

সরকার আগামী ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এতে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি এবং পরের দু'দিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ১০ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা।

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ব্যাংকের ছুটির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দেবে। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক সীমিত সময়ে লেনদনে চালু রাখার এ সিদ্ধান্ত নেয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এর আগেও বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে অফিস করতে বলা হয়েছে।

সোমবার আরেক সার্কুলারের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করতে বলা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব এবং কমিউনিটি ট্রান্সমিশন প্রতিরোধে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, জনসমাগমের কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিবেচনায় ব্যাংকের পর্ষদ এবং পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় ব্যাংকের পরিচালকদের সশরীরে উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ।

এ প্রেক্ষাপটে এখন থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি, অডিট কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সব সভা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তথা ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠানের পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।

এক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক পরিচালক যথানিয়মে সম্মানী পাবেন। তবে সভার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে।

অন্য আরেকটি সার্কুলারে ব্যাংকগুলোর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত করতে বলা হয়েছে। ১০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর অংশগ্রহণে চলমান সব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত করে কর্মীদের কর্মস্থলে যোগ দিতে নির্দেশনা দিতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads