• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
মানবতার কল্যাণে বসুন্ধরা গ্রুপ

করোনা মোকাবিলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে চেকটি গ্রহণ করেন মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

মানবতার কল্যাণে বসুন্ধরা গ্রুপ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩১ মার্চ ২০২০

দেশের ক্রান্তিলগ্নে বরাবরই মানবতার কল্যাণে এগিয়ে এসেছে স্বনামধন্য বসুন্ধরা গ্রুপ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই শিল্পগোষ্ঠী। সহায়তার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে সরকারকে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এই উদ্দেশ্যে গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা পরিদর্শন করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল বদরুল হকের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মো. ইউনুস আলীর নেতৃত্বে তিন কর্মকর্তা।

এর আগে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান কর্তৃক পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরির একটি লিখিত প্রস্তাব দেওয়া হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবটি তুলে ধরেন। ওই প্রস্তাবে রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরার চারটি কনভেনশন সিটি ও একটি ট্রেড সেন্টারকে হাসপাতালে রূপান্তরের কথা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন বলে তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের প্রস্তাবে বলা হয়, রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরার চারটি কনভেনশন সিটি ও একটি ট্রেড সেন্টারে হবে এই পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল। কনভেনশন সিটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ৩০ হাজার বর্গফুটের। বাকি তিনটি ২০ হাজার বর্গফুটের। আর ট্রেড সেন্টারের আয়তন এক লাখ ৫০ হাজার বর্গফুটের। বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিগুলো বিভিন্ন অবকাঠামোসমৃদ্ধ এবং রাজধানীর মধ্যবর্তী কুড়িল এলাকায় অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও হাসপাতালে রূপান্তরের অবস্থায় রয়েছে। এখনই উদ্যোগ নেওয়া হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এগুলোকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে চালু করা সম্ভব হবে। কারণ এই কনভেনশন সেন্টারের অবকাঠামো এবং সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত থাকায় শুধু বিশেষ ব্যবস্থাপনায় শয্যা বসিয়ে এই মহামারী মোকাবিলা করা সম্ভব। এখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারলে নতুন করে হাসপাতাল তৈরির সময় এবং অর্থ অপচয় দুটোই কমবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads