• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর

ফাইল ছবি

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল ২০২০

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। রাতে ফাঁসি কার্যকরের সময় সিভিল সার্জন, পুলিশ ও কারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ফাঁসির প্রস্তুতি দেখতে কারাগারে যান আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা। রাত ১০টার পর আবদুল মাজেদকে তার সেলে গিয়ে তওবা পড়ান কারা মসজিদের ইমাম। কারা সূত্র জানায়, চিৎকার করে কেঁদে তওবা পড়েছেন ক্যাপ্টেন মাজেদ।

২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি খুনি বজলুল হুদা, আর্টিলারি মুহিউদ্দিন, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহারিয়ার রশিদ খান ও ল্যান্সার মহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বহিষ্কৃত) আব্দুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার এ আবেদন করেন মাজেদ। কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছায়। গত মঙ্গলবার আদালত কর্তৃক মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছানোর পর তা মাজেদকে পড়ে শুনানো হয়।

গত সোমবার দিবাগত রাতে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে প্রায় দুইযুগ পলাতক থাকার পর মাজেদকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম বর্বরোচিত ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন এই মাজেদ। তখন তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন জুনিয়র কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads