• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
করোনাভাইরাস: ঢাকায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মোহাম্মদপুরে

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

করোনাভাইরাস: ঢাকায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মোহাম্মদপুরে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০২০

রাজধানী ঢাকায় করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দারা। শনিবার পর্যন্ত যে ২১৪৪ জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮৭৭ জনই ঢাকার বাসিন্দা, যা আক্রান্তদের ৩২ শতাংশ।

বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মোহাম্মদপুরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন।

এরপরেই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ওয়ারীর বাসিন্দারা, ২৮ জন। তারপরে রয়েছে মিটফোর্ডে- ২৬ জন, লালবাগে ২৩ জন আর যাত্রাবাড়ীতে ২৫ জন। পুরনো ঢাকা এলাকায় সব মিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ জন। উত্তরায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ জন, ধানমন্ডিতে ২১ জন।

একক মহল্লা হিসাবে হিসাবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন মিরপুরের টোলারবাগে। সেখানে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন। আরেকটি এলাকা শাঁখারিবাজারে আক্রান্ত ১০ জন। আর বাসাবোতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন।

এছাড়া ঢাকার তেজগাঁওয়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন ১৬ জন। বংশাল, গেণ্ডারিয়া ও হাজারীবাগেও শনাক্ত হয়েছেন ১৬ জন করে রোগী।

গুলশানে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ জন। রাজারবাগ, আজিমপুর ও মিরপুর-১১ প্রতিটা এলাকায় ১৩ জন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

চকবাজার ও মহাখালীতে ১২ জন বাসিন্দা কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন। মগবাজার, বাবুবাজার ও মিরপুর-১২ তে ১১ জন করে বাসিন্দা কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন।

ঢাকার গ্রীনরোডে শনাক্ত হয়েছেন ১০জন। সূত্রাপুরে ৯ জন, মিরপুর-১, বাড্ডা ও বনানীতে ৮ জন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মিরপুর-১০ এ শনাক্ত হয়েছেন সাতজন।

বসুন্ধরা, ইস্কাটন, মিরপুর-১৪ ও শাহবাগে ছয়জন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন। আদাবর, আগারগাঁও, ঝিগাতলা, লক্ষ্মীবাজার, নাখালপাড়া, রমনায় পাঁচজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

এছাড়া ঢাকার অন্যান্য অনেক এলাকায় কয়েকজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার পর্যন্ত কোভিড-১৯ মোট আক্রান্ত হলেন ২১৪৪। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৬৬জন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক বলেন বাংলাদেশে যাদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে তাদের শতকরা ২৭ ভাগই ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী।

আক্রান্তদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের হার ২২ ভাগ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের হার ১৯ ভাগ। অর্থাৎ বাংলাদেশে আক্রান্তদের প্রায় ৭০ ভাগের বয়সই ২১ থেকে ৫০ এর মধ্যে।

রোগতত্ত্ব,রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলছেন, আক্রান্তদের মধ্যে ৩২ শতাংশই ঢাকার বাসিন্দা। এরপরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার অবস্থান।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads