• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
চিকিৎসা সেবায় টেলিমেডিসিনই এখন মানুষের অন্যতম ভরসা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

চিকিৎসা সেবায় টেলিমেডিসিনই এখন মানুষের অন্যতম ভরসা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে জীবনযাত্রা বদলে যাওয়ার বড় প্রভাব পড়েছে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায়; চিকিৎসা সেবা পেতে ঘরে আটকে থাকা মানুষের জন্য একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সংক্রমণের আশংকায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া কমেছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী না পাওয়ার কারণে অনেক চিকিৎসকও সরাসরি রোগী দেখা থামিয়ে দেন, বন্ধ হতে থাকে অনেক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান।

২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির আওতায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে রোগীদের ভিড় একেবারেই কমে যায়। সব মিলে বিকল্প হিসেবে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে টেলিফোনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও টেলিমেডিসিন সেবায় যুক্ত হয়েছে।

গত ১৭ মার্চ থেকে বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের ১০০ জনের বেশি চিকিৎসক টেলিমেডিসি সেবায় যুক্ত হয়েছেন। সেখানকার গবেষণা সহকারী ডা. মাহবুবুর রহমান রাজিব বলেন, তারা আইইডিসিআর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ১০৬৫৫ নম্বরে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিচ্ছেন।

ননস্টপ হেলপলাইন নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমেও তারা সেবা দিচ্ছেন।” রাজিব বলেন, শুরুর দিকে ব্যক্তিগত নম্বরগুলোতে দিনে ৪ থেকে ৫ হাজার কল আসত। হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রচারের উপর জোর দেন শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তণ এই শিক্ষার্থী।

একটি বেসরকারি অডিট ফার্মে কর্মরত শাফায়েত ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে তার ছয় বছরের সন্তানের ঠাণ্ডা, সর্দি ও জ্বর দেখা দেয়। নিয়মিত চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সরকারি কিছু জায়গায় বার বার ফোন দিয়েও ব্যস্ত পেলাম। এরপর ফেইসবুক থেকে একটি সংগঠনের ফোন নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করলাম। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, ট্রিটমেন্টের পর মেয়ে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠল।’ এদিকে সপ্তাহখানেক ধরে হাতের ব্যাথায় ভুগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান গৃহকর্মী আকলিমা।

কিন্তু চিকিৎসকের দেখা পাননি তিনি। বরং তার শুনে রিসিপশনিস্ট কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু চিকিৎসক না দেখিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চাননি তিনি।
গত ৪ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, দিনে দুই হাজার ১০০ স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানান, রোগীরা এখন ফোনেই নিরবচ্ছিন্নভাবে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, জরুরি, শিশু ও কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads