• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
কলমাকান্দায় ফের বন্যা, দুর্ভোগে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

কলমাকান্দায় ফের বন্যা, দুর্ভোগে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ

  • কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ জুলাই ২০২০

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় আজ রোববার দুপুরে  উব্দাখালী নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ফের বন্যায় ৮০টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী। গত ২৪ ঘণ্টায় আজ রোববার সকালে  ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। বন্যার কারণে নিম্নাঞ্চলসহ প্লাবিত এলাকায় মানুষের খাবার সংকট ও বিশুদ্ধ পানির এবং গো খাদ্য অভাব দেখা দিয়েছে।

গত শুক্রবার মধ্যে রাত থেকে আজ রোববার অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এবং পার্শ্ববর্তী জেলার সুনামগঞ্জের বন্যার পানি আসায় উপজেলার উব্দাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে আছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। গবাদি প্রাণি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। দুর্গত মানুষদের অভিযোগ খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে ।

নেত্রকোণার ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা সড়ক ও কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ, থানারোড, চাঁনপুর, মনতলা, নয়াপাড়া ও মুক্তিচরসহ, পাঁচকাটা বাজার, আনন্দপুর,হরিপুর,  বাউশাম, বিশরপাশা, বরুয়াকোনা, রংছাতি, কৃষ্টপুর,রামনাথপুর, পোগলা, আমবাড়ী, ধীতপুর, শুনই ও বড়খাঁপন কাঁচা ও পাঁকা সড়কের উপর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে। ভেঙে পড়েছে উপজেলার অভ্যন্তরীণ পাঁকা ও কাঁচা সড়কের যোগযোগ ব্যবস্থা। এতে করে আবারও উপজেলায় রাস্তা-ঘাটে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে উব্দাখালী পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল ফের প্লাবিত হয়েছে। থেমে থেমে অতি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

গত শুক্রবার মধ্যে রাত থেকে ফের ভারী বর্ষণে কারণে সীমান্তবর্তী গনেশ্বরী নদী , মঙ্গলেশ্বরী নদী, মহাদেও নদী ও পাঁচগাও ছড়ায় পাহাড়ি ঢলের কারণে ফুলে-ফেঁপে ওঠে পুরো উপজেলার উব্দাখালী নদী। উপজেলায় পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলসহ গ্রাম-জনপদ পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে ফসলী জমিসহ বিস্তীর্ণ গোচারণ ভূমি। অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৮০টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। বন্যার কারণে নিম্নাঞ্চলসহ প্লাবিত এলাকায় মানুষের খাবার সংকট ও বিশুদ্ধ পানির এবং গো-খাদ্য অভাব দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি ও মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যার  পানিতে প্লাবিত  হয়েছে। ফের পানিতে তলিয়ে আমনের প্রায় ৩০০ একর বীজতলা ও ৫১০ হেক্টর আউশ ধান জমির ফসল ব্যপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত তিন দিনে আজ সকাল সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত্য কলমাকান্দায় ১৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।এক সপ্তাহ আগে  টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্রায় ১ হাজার ৬০৪ টি পুকুরের মাছ সম্পূর্ণ ভেসে গেছে। এখন আবারও  নতুন করে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি হলে আরো প্রায় ২ হাজার মৎস্য চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি বৃদ্ধি পেলে পাহাড়ি ঢলে ও পার্শ্ববর্তী জেলার সুনামগঞ্জের বন্যার পানি আসার কারণে কলমাকান্দায় বড় বন্যার আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads