রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনার পর সাহেদকে প্রথমে র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই বাসায় অভিযানে নামে র্যাব। পর তাঁকে নিয়ে র্যাব উত্তরার ওই বাসায় যায়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সুজয় সরকার।
তিনি জানান, সাহেদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির ফ্ল্যাটে অভিযান হবে।
এর আগে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। কোমরপুর সীমান্ত দিয়ে নৌকায় করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় তিনি জিন্সের প্যান্ট ও নীল রঙের শার্টের ওপর কালো রঙের বোরকা পরে ছিলেন। এ অবস্থায় বুধবার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরে তাকে ঢাকায় আনা হয়। আজ বুধবার সকাল ৯টায় সাহেদকে নিয়ে র্যাবের হেলিকপ্টারটি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তাদের বিরুদ্ধে পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে আসে। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ৬ হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পেয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। পরের দিন ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়া হয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫৬ টি মামলা রয়েছে বলে র্যাব সূত্র জানায়।