• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
এরদোয়ানকে সপরিবারে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

এরদোয়ানকে সপরিবারে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে সপরিবারে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি আশা করি শিগগিরই তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন। একই সঙ্গে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও আসবেন। এ ছাড়া আমি বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাই বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে। আমি বিশেষভাবে আশাবাদী তিনি আমাদের বাংলাদেশ সফর করবেন। একই সঙ্গে আমি আরো আশাবাদী, তার সঙ্গে ফার্স্ট লেডিও (এমিনা এরদোয়ান) আসবেন।

গতকাল সোমবার তুরস্কের আঙ্কারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দুই বছরের কম সময়ে দূতাবাস কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, দূতাবাসের স্বতন্ত্র লাল ইটের ভবনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের ছাপ রয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সংবলিত প্রশস্ত এই কমপ্লেক্সে একটি সুন্দর মিলনায়তনও রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ভবন উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এটি উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলু।

তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ২০১২ সালে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আমন্ত্রণে তার তুরস্কের আঙ্কারা সফরের কথাও বর্ণনা করেন।

২০১২ সালে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ শুরু হয়। সে সময় এ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণ শেষ হয়েছে।

তুরস্কের আঙ্কারার বাংলাদেশ মিশন জানায়, আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ৪৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তবে ভবনটি নির্মাণে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা কম ব্যয় হয়েছে। ওই টাকা বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশ নিতে গত রোববার তুরস্কে গেছেন।

দূতাবাস জানিয়েছে, ৪ হাজার ২৮৩ বর্গমিটার আয়তনের দূতাবাস কমপ্লেক্সের মধ্যে অফিস ভবন, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, ‘বিজয় একাত্তর’ নামের ২২৯ আসনের উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন মিলনায়তন, স্বয়ংক্রিয় মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম, মসজিদ, ব্যায়ামাগার, বাংলাদেশি সামগ্রীর প্রদশর্ন কেন্দ্র, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং আর্থ-সামাজিক বিষয়ে একটি পাঠাগার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads