প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে বাংলাদেশ সব সময় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। গতকাল রোববার গণভবনে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান, কোভিড-১৯ মহামারী, রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সব সময় ভালো সহযোগিতার কথা চিন্তা করি। বিশেষ করে এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে অধিকতর ভালো সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের প্রয়োজনে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে, সে কথাও বিদায়ী হাইকমিশনারকে বলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করে আসা রিভা গাঙ্গুলি দাশ অক্টোবরের শুরুতে দেশে ফিরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। তার জায়গায় ভারতের নতুন হাইকমিশনার হয়ে আগামী ৫ অক্টোবর ঢাকায় আসছেন বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া ও উজবেকিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব সামলেছেন।
ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রিভা গাঙ্গুলি ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ নীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী এবং পরের বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পঞ্চাশতমবার্ষিকী উদ্যাপন বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, রিভা গাঙ্গুলী করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করার কথা বৈঠকে বলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহামারী মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিরও প্রশংসা করেন বিদায়ী ভারতীয় দূত। প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, এ সংকট মোকাবিলায় দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একসঙ্গে কাজ করছে। মহামারীর কারণে মুজিববর্ষ উদযাপনের বিভিন্ন কর্মসূচি স্থগিত করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। কিন্তু করোনার কারণে আমরা অনেক কর্মসূচি উদযাপন করতে পারিনি। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে।
