• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

জাতীয়

সরকারি ভবনে বিদ্যুতের অপচয় কমাতে উদ্যোগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ অক্টোবর ২০২০

সরকারি ভবনে মাঝেমধ্যেই বিশেষ বিশেষ দিনসহ নানা সময়ে আলোর ঝলক দেখা যায়। বাইরের আলো আটকে দিয়ে কৃত্রিম আলো জ্বালিয়ে বিদ্যুতের অপচয় নিয়ে অনেক দিন ধরে কেবল আলোচনাই হয়ে আসছে। তবে এবার আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসে এ নিয়ে কাজ করতে চাইছে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)। এ জন্য ‘এনার্জি এফিসিয়েন্সি পাবলিক বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় দিনের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে সরকারি ভবনের বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

স্রেডা বলছে, এটি একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে। এই মডেল অনুসরণ করলে সরকারি ভবনের জ্বালানি দক্ষতা বাড়বে। এতে যেমন জ্বালানির সাশ্রয় হবে, তেমনই আর্থিকভাবে সরকারি খাত লাভবান হবে। এই উদ্যোগ বেসরকারি পর্যায়েও চালু করা যেতে পারে, যাতে করে ভবনে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এতে ভোক্তার বিদ্যুৎ বিল এখনকার তুলনায় কমে আসবে। এরই মধ্যে রাজধানীর বেসরকারি খাতের কিছু ভবনকে জ্বালানি সাশ্রয়ী হিসেবে গড়ে তুলেছেন উদ্যোক্তারা। এসব ভবনে দিনের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার যেমন করা হচ্ছে, তেমনই ভবনে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এতে ভবনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকছে। এ প্রক্রিয়ায় ঘর ঠান্ডা রাখার কাজে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হচ্ছে না।

স্রেডার চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, আমরা এনার্জি এফিসিয়েন্সি নিয়ে পাঁচটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে পাবলিক বিল্ডিং একটি। জার্মানির উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিআইজেডের সহযোগিতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা নিরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করার উদ্যোগ নিচ্ছি।

সূত্র বলছে, এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে একটি ভবন কী পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করছে তা নিরীক্ষা করা হবে। এরপর কোথায় কীভাবে জ্বালানি সাশ্রয় করা যায়, তা দেখা হবে। সব শেষে ভবনগুলোর সংস্কারে একটি সুপারিশ করা হবে, যা মেনে চললে ভবনগুলোতে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি সাশ্রয় হবে।

জানা গেছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে গত ৯ আগস্ট স্রেডার সঙ্গে জিআইজেড-এর সভা হয়। তারা মোট ১৫টি বিল্ডিং প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে। এরপর চূড়ান্ত নির্বাচনে ১২টি বিল্ডিংয়ে জ্বালানি সাশ্রয়ী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জরিপ করার উদ্যোগ নেয় স্রেডা। এ কাজে জিআইজেডের টেকনিক্যাল কনসালটেশন টিম নিয়োগের কাজও করা হচ্ছে। জিআইজেড ইওআই (এক্সপ্রেসন অব ইন্টারেস্ট) আহ্বান করে। এতে ১৬টি প্রতিষ্ঠান ইওআই জমা দেয়। এদের আর্থিক ও কারিগরি মূল্যায়ন শেষ করা হয়েছে।

স্রেডার কর্মকর্তারা বলছেন, এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে এক মেগাওয়াট সাশ্রয় করা উত্তম। সারাবিশ্বই এই নীতি মেনে চলে। কিন্তু আমাদের এখানে অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুতের অপচয় হয়। যেসব যন্ত্রাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সেগুলো লাগানোর বিষয়ে কোনো দিক নির্দেশনাও নেই। ফলে দামে সস্তা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়, যা মূলত বিদ্যুতের অপচয়কে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। নিরীক্ষা করে এসব বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলে জ্বালানি সাশ্রয় হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads