• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

জাতীয়

ইরফান সেলিমের বডি গার্ড দিপু গ্র্রেপ্তার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৭ অক্টোবর ২০২০

নৌ-কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে হত্যার চেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি এবি সিদ্দিক দিপুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক এ তথ্য জানান, তিনি জানান মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩ টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আজিমুল হক জানান, দুপুরে রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হবে দিপুকে।

নৌ-কর্মকর্তা ওয়াসিফকে দিপুই বেশি আহত করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এবি সিদ্দিক দিপু ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফানের বডি গার্ড বলে জানা গেছে। 

এর আগে গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে দুপুরে লালবাগে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বাস ভবনে দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বিকালে ইরফান ও তার বডি গার্ড মো. জাহিদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের দুইজনকে এক বছর করে জেল দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার রাতে ঢাকার ধানমন্ডিতে গাড়ী থেকে নেমে নৌকর্মকর্তা ওয়াসিফের উপর হামলা চালানো হয়। এরপরই লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফের মামলা দায়ের করেন। দিপু মামলার দুই নম্বর আসামি বলে আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের ডিসি আজিমুল হক। 

ওয়াসিফ আহমদ এজাহারে অভিযোগ করেন, নীলক্ষেত থেকে বই কিনে মোটরসাইকেলে করে তিনি মোহাম্মদপুরে তার বাসায় ফিরছিলেন। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে তার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। ওয়াসিফ আহমদ মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়িটির গ্লাসে নক করে নিজের পরিচয় দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে চান। তখন এক ব্যক্তি বের হয়ে তাকে গালিগালাজ করে। তারা গাড়ি নিয়ে কলাবাগানের দিকে যায়। মোটরসাইকেল নিয়ে ওয়াসিফ আহমদও তাদের পেছনে পেছনে যান। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে গাড়িটি থামলে ওয়াসিফ তার মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান। তখন তিন-চার জন লোক গাড়ি থেকে নেমে বলতে থাকে, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবিহিনী বাইর করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বাইর করতেছি। তোকে আজ মেরেই ফেলবো’−এই কথা বলে তাকে কিলঘুষি দিতে থাকে। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads