বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন। এ পরীক্ষায় পাস করার মনোবল ছিল বঙ্গবন্ধুর। তার ইংরেজি শিক্ষকের নাম রসরঞ্জন বাবু। আর মনোরঞ্জন বাবু তাকে অঙ্ক শিখাতেন। বঙ্গবন্ধুর অঙ্কে ভয় ছিল। কারণ ভুল করে ফেলতেন। তিনি মনে করতেন, অঙ্কের জন্যই হয়তো বা প্রথম বিভাগ পাবেন না। কিন্তু পরীক্ষার একদিন আগে তার ভীষণ জ্বর হয়। মামস হয়ে গলা ফুলে যায়। জ্বর হয় ১০৪ ডিগ্রি। তার পিতা রাতভর বঙ্গবন্ধুর পাশেই বসে ছিলেন।
গোপালগঞ্জ শহরের সব ডাক্তার এনেও বঙ্গবন্ধুর জ্বর নামেনি। তার পিতা বঙ্গবন্ধুকে পরীক্ষা দিতে নিষেধ করলেন। জবাবে বঙ্গবন্ধু বললেন, যা পারি শুয়ে শুয়ে দেব। প্রথম দিন ছিল বাংলা পরীক্ষা। কিন্তু সকালের পরীক্ষায় মাথাই তুলতে পারবেন না। তবুও কিছু কিছু খাতায় লেখেন। আর বিকালে জ্বর কমায় অন্য পরীক্ষা ভালোই হয়। কিন্তু দেখা যায়, বাংলায় বঙ্গবন্ধু কম মার্কস পেয়েছন। আর অন্য বিষয়ে দ্বিতীয় বিভাগের মার্কস পেয়েছেন। তাই তার মন ভেঙে যায়।
এদিকে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ায় দিন দিন বঙ্গবন্ধু ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সভা ও বক্তৃতা করেই দিন চলে যায়। খেলার দিকে আর নজর নাই। শুধু মুসলিম লীগ আর ছাত্রলীগ। তার ভাবনায় পাকিস্তান আনতেই হবে। নতুবা মুসলমানদের বাঁচার উপায় নাই। আর খবরের কাগজ ‘আজাদ’ যা লেখে তাই বঙ্গবন্ধুর কাছে সত্য বলে মনে হয়। পরীক্ষার পর কলকাতায় চলে যান বঙ্গবন্ধু। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগদান করে মাদারীপুর ফিরে এসে মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করেন।