• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ভেজাল খাদ্যে প্রাণনাশ!

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

ভেজাল খাদ্যে প্রাণনাশ!

নিরাপদ খাদ্য আইনের প্রয়োগ নেই

  • এম এ বাবর
  • প্রকাশিত ১৪ জানুয়ারি ২০২১

৪৭ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি খাদ্যে ভেজাল আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি। ফলে দেশে ভোগ্যপণ্যে ভেজাল চরম আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নানা ধরনের রোগব্যাধিও। আর খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে প্রতি বছর প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশুদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগের আহ্বান বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ ভেজাল ও দূষিত খাদ্য গ্রহণের কারণে অসুস্থ হয়। এর মধ্যে মারা যায় চার লাখ ৪২ হাজার। এ ছাড়া দূষিত খাদ্য গ্রহণজনিত কারণে ৫ বছরের কম বয়সের আক্রান্ত হওয়া ৪৩ শতাংশ শিশুর মধ্যে মৃত্যুবরণ করে এক লাখ ২৫ হাজার।

পরিবেশ বাঁচাও অন্দোলনের (পবা) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু ভেজাল খাদ্য গ্রহণের কারণে প্রতি বছর দেশে তিন লাখ লোক ক্যানসারে, দুই লাখ লোক কিডনি রোগে, দেড় লাখ লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া গর্ভবতী মা ১৫ লাখ বিকলাঙ্গ শিশুর জন্মদান করেন। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে হেপাটাইটিস, কিডনি, লিভার ও ফুসফুস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। ২০১৫ সালে দিনাজপুরে কীটনাশকমিশ্রিত লিচুর বিষক্রিয়ায় ৮ এবং ২০১২ সালে ১৪ জন শিশুর প্রাণহানি ঘটে।

জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট খাদ্যে ভেজালের সর্বশেষ পরীক্ষা চালায় ২০১৯ সালে। ওই বছর সারা দেশ থেকে ৪৩টি ভোগ্যপণ্যের মোট ৫ হাজার ৩৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে সংস্থাটি। তাদের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে খাবারের তালিকাভুক্ত ৪৩ ধরনের পণ্যেই ভেজাল পাওয়া গেছে। ভেজালের পরিমাণ গড়ে শতকরা ৪০ ভাগ। এর মধ্যে ১৩টি পণ্যে ভেজালের হার প্রায় শতভাগ। 

২০১৯ সালের মে মাসে খোলাবাজার থেকে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা ক্রয় করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এসব পণ্য তাদের নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করা হলে ৫২টি পণ্যে ভেজাল পাওয়া যায়। এসব পণ্যের মধ্যে ছিল সরিষার তেল, চিপস, খাবার পানি, নুডলস, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, আয়োডিনযুক্ত লবণ, লাচ্ছা সেমাই, চানাচুর, বিস্কুট ও ঘি।

এরপর পণ্যগুলো বাজার থেকে তুলে নিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কনশাস কনজুমার্স সোসাইটি নামে একটি বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাজার থেকে ওই ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশ বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ পণ্যগুলোর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আব্দুল কাইয়ুম সরকার।

এভাবে বিভিন্ন গবেষণায় দেশের অনিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি বার বার উঠে এসেছে। পোলট্রি ফার্মের ডিমে ট্যানারি বর্জ্যের বিষাক্ত ক্রোমিয়াম পাওয়া গেছে। আটায় মেশানো হচ্ছে ক্যালসিয়াম কার্বনেট। আনারসে হরমোন প্রয়োগ করে দ্রুত বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলে আসছে বহুকাল ধরে। আমগাছে মুকুল ধরা থেকে শুরু করে আম পাকা পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে রাসায়নিক ব্যবহার এখন ওপেন সিক্রেট। মিষ্টিজাতীয় খাবারে ব্যবহার করা হয় বিষাক্ত রং, সোডা, স্যাকারিন ও মোম।

ফরমালিন, কার্বাইড, ইউরিয়া, হাইড্রোজসহ নানা ক্ষতিকর ও রাসায়নিক পদার্থ খাদ্যে ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না। বছরের পর বছর ধরে খাদ্যে ভেজাল দেওয়াসহ বিষ মেশানো চলছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর আসে। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও চলে। কিন্তু অপরাধীরা শেষ পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়।

খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশের প্রচলিত আইনেই। অথচ অজ্ঞাত কারণে ওই আইনটি প্রয়োগ করা হচ্ছে না। খাদ্যে ভেজালকারীদের আইনে নির্ধারিত সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার কোনো নজির এ দেশে নেই। অথচ উন্নত বিশ্বে বা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অপরাধে যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। ওইসব দেশে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর হার কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে। খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অপরাধের শাস্তি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাবজ্জীবন, চীনে মৃত্যুদণ্ড, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। এসব দেশে বর্তমানে এসব কঠোর আইনেই ভেজাল মেশানোর অপরাধের বিচার হচ্ছে। পাকিস্তানেও ভেজাল খাদ্য বিক্রিকারীদের দ্বিতীয়বার অপরাধ করার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তিন বছরের কারাদণ্ডে বিধান রয়েছে।

এদিকে খাদ্য ভেজাল রোধে বাংলাদেশের কঠোর আইন আছে; কিন্তু প্রয়োগ নেই। এ উপমহাদেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৮৬০ সালে প্রণীত হয় দণ্ডবিধি। স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশেও দণ্ডবিধির প্রচলন বলবৎ থাকে। দণ্ডবিধির ২৭২ ও ২৭৩ ধারায় খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তির বিধান রয়েছে। ২৭২ ধারায় বিক্রির জন্য খাদ্য বা পানীয়তে ভেজাল মেশানোর দায়ে কোনো ব্যক্তিকে অনধিক ছয় মাস পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে। ২৭৩ ধারায় ক্ষতিকর খাদ্য ও পানীয় বিক্রির অপরাধেও ছয় মাসের শাস্তির বিধান রয়েছে। ওষুধে ভেজাল মেশানো বা ভেজাল মেশানো ওষুধ বিক্রির জন্য দণ্ডবিধির ২৭৪ ও ২৭৫ ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের শাস্তির বিধান রয়েছে। এরই মধ্যে ভেজাল মেশানোর প্রবণতা বাড়তে থাকায় ১৯৫৯ সালে মানুষের ভোগের জন্য খাদ্য প্রস্তুত ও বিক্রি অধিকতর নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশের ৬ ধারা থেকে ৩৭ ধারা পর্যন্ত খাদ্যে ভেজাল মেশানো, ভেজাল খাদ্য বিক্রি, ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযানে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের বাধা দেওয়ার জন্য শাস্তির বিধান করা হয়। বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশের এসব ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর আর সর্বনিম্ন শাস্তি ছয় মাস কারাদণ্ড করা হয়। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়। কিন্তু এই আইন কার্যকর থাকলেও খাদ্যে ও ওষুধে ভেজাল মেশানো বা ভেজাল মেশানো খাদ্য বিক্রির পরিমাণ আরো বাড়তে থাকে, বিশেষ করে স্বাধীনতা-উত্তরকালে ভেজাল খাদ্য ও ভেজাল ওষুধ বিক্রির হার বেড়ে যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়। এ আইনের ২৫(গ) এর ১(ঙ) ধারায় খাদ্যে ভেজাল, ওষুধে ভেজাল মেশালে বা ভেজাল খাদ্য ও ওষুধ বিক্রি করলে বা বিক্রির জন্য প্রদর্শন করলে অপরাধী ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১৪ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন বলে বিধান করা হয়। এছাড়া ক্ষতিকর প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি বা বিক্রির জন্য প্রদর্শন (যা মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর) করলে অপরাধীকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বা যে কোনো মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়ার বিধান করা হয়। কিন্তু এমন আইন প্রয়োগের বা এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার দৃষ্টান্ত এ দেশে নেই।

তা ছাড়া খাদ্যের মান বজায় রাখাসহ নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২০০৯ সালের ২০ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই রায়ে প্রতিটি জেলায় খাদ্য আদালত গঠন এবং ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করে খাদ্যের মান ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য খাদ্য পরীক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই রায় দেন। ওই রায় আজো বাস্তবায়িত হয়নি। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আবার একটি আদেশ দিয়ে প্রশাসনকে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার নির্দেশ দেন। ২০১৩ সালে সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন প্রনয়ন করে। এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের কারাদণ্ড আর সর্বনিম্ন ছয়মাস আর একই সঙ্গে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে। ২০১৫ সালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু মাঝেমধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ছাড়া কোন আইনের সঠিক ভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না।

খাদ্যে ভেজাল রোধে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের (কৃষি মন্ত্রণালয়) ভূমিকা সম্পর্কে সংস্থার পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে ‘ডিজিটাল কৃষি তথ্যের প্রচলন ও গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আধুনিক আইসিটি ভিত্তিক কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। যে কেন্দ্রগুলো কৃষি ও কৃষককে নতুন নতুন প্রযুক্তিসহ সকল পর্যায়ের তথ্য সেবা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সরবরাহ করছে। এআইসিসি বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন, বিপণন এবং গ্রহণে সামাজিক সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে দেশব্যাপী জোরালো গণ-আন্দোলন সৃষ্টি করছে। তবে খাদ্য ভেজাল বন্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর শাস্তি বাস্তবায়ন হলেই এটি নিয়স্ত্রণে চলে আসবে বলে তিনি মনে করেন। 

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, খাদ্যে ভেজাল মেশানো এমন একটি অপরাধ, যা খুনের চেয়ে জঘন্য। এক ব্যক্তি একজন বা দুজনকে খুন করে। আর খাদ্যে ভেজাল যারা মেশায়, তারা বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের অনেক মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। মানবজাতিকে এ নীরব ঘাতক থেকে মুক্তি দিতে ভেজাল ও ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহারকারীদের জন্য কঠিন আইনে শাস্তি প্রয়োগ প্রয়োজন।

সন্দেহাতীতভাবে খাদ্যে ভেজাল একটি জাতীয় সমস্যা উল্লেখ করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) পরিচালক (প্রশাসন) তাহের জামিল বলেন, ভেজাল প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিএসটিআইর অভিযান, খাদ্য সংগ্রহ ও পরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত হচ্ছে। তবে কঠোরভাবে আইনের বাস্তবায়ন করতে হলে সংস্থাটির জনবলসহ ল্যাবগুলো আরো উন্নত করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে। ৩৩৩ নম্বরে যে কেউ ফোন দিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবে। পাশাপাশি হটলাইনের কল সেন্টার থেকে মোবাইলের খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ভেজাল খাদ্য পরীক্ষা করতে ইতোমধ্যে দেশের আট বিভাগে আটটি আধুনিক ল্যাবরেটরি তৈরির কাজ চলছে। শুধু আইন দিয়েই নয়, ভেজাল খাদ্যের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads