• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

মাদকসহ আটক হয়ে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারি ২০২১

গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টঙ্গীর তুরাগ থানার এসআই নিয়াজ সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে তুরাগের ১৭নং সেক্টরের ২নং ব্রিজের পাশ থেকে ইয়ার আলী খান নামে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করেন।

এসময় ওই মাদক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন তার বাসায় আরও ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেন এসআই নিয়াজ। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মাদক ব্যাবসায়ী ইয়ার আলী খানের বৃন্দাবন এলাকার একটি বস্তির বাসায় তল্লাশি করে আরও ৪৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন। এই ব্যাপারে এস আই নিয়াজ মোঃ শরিফ বাদী হয়ে মাদক আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৬,তাং- ১৭/১/২০২১ইং।

আর এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ী ইয়ার আলী খানের ছেলে শরিফুল ইসলাম রনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে এসআই নিয়াজসহ উক্ত মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বাসায় তল্লাশিকালে আলমারির তালা ভেঙে ১৩ লাখ টাকা নেওয়া ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মারধরের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মদক ব্যবসায়ীরা পারস্পারিক যোগসাজসে এসআই নিয়াজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই অভিযোগ।

তুরাগ এলকায় বসবাসকারী নয়ন নামে এক যুবক জানান, আগে তুরাগের যত্রতত্র মাদক কেনা-বেচা হতো। এতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে খুবই দুঃচিন্তায় থাকতেন। তবে পুলিশের সাহসী ভূমিকায় বর্তমানে পরিস্থিতি অনেক বদলে গেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন, অনেকে পুলিশের ভয়ে পলাতক। কেউ কেউ মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। আর এসব কারণেই এসআই নিয়াজের উপর ক্ষিপ্ত স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন।

তবে মাদক ব্যবসারীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মারধরের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন এসআই নিয়াজসহ অভিযানে অংশ নেওয়া অন্যান্য পুলিশ সদস্য।

নিয়াজ বলেন, ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পর পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সম্পূর্ণ ইচ্ছাপ্রণোদিত ভাবে এই মিথ্যা অভিযোগ করেছেন ওই মাদক ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযান চালানোর সময় পুরো ঘটনা ভিডিও করেছে পুলিশ। আর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও প্রাথমিক তদন্তে তাদের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাননি।

তুরাগ থানার ওসি মেহেদি হাসানও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই মাদক ব্যবসায়ীর অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। অভিযান চালানোর সময়ের পুরো ঘটনার ভিডিও পুলিশের কাছে আছে।

অন্যদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মাদক ব্যবসায়ী ইয়ার আলী খানের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলাও রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads