করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আজ বুধবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের রুনু বেরোনিকাকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
প্রথম টিকা নেওয়া রুনু বেরোনিকা কস্তা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স।
টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। যখন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা আসলো। আমরা বললাম যত দ্রুত এই টিকা নেওয়া যায়। আমি ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে রেখেছিলাম ভ্যাকসিন কেনার জন্য।’
প্রথম টিকা পাওয়া বাকি চারজন হলেন- এ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. দিদারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
এই কার্যক্রমে আরও ৪ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়। এসময় পর্যায়ক্রমে টিকা নেন কুর্মিটোলা হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, পুলিশ সদস্য মো. দিদারুল ইসলাম ও সেনাসদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ। এছাড়া আরও ২৫ জনকে টিকা দেওয়া হবে।
এ সময় টিকাদান ব্যবস্থাপনার ‘সুরক্ষা’প্ল্যাটফর্মের মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা হয়। যারা টিকা নিতে চান তাদের সবাইকেই এই অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালের ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আর সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।