ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার খবর শুনে গতকাল শুক্রবার ঘুম ভাঙে সিলেটবাসীর। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের রশিদপুরে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৮ জনের একজন সিলেট নগরীর উইমেন্স মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. ইমরান খান রুমেল। তিনি সিলেটের চিকিৎসক পরিবারের সন্তান।
গতকাল দক্ষিণ সুরমার রশিদপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তছনছ হয়ে যায় পরিবারটি। দুর্ঘটনায় পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন ডা. ইমরান। স্ত্রী ডা. অন্তরা আক্তারও গুরুতর আহত। অবশ্য বাবা মায়ের সাথে না থাকায় বেঁচে গেছে তাদের দুই শিশু সন্তান এনায়া ও ইন্তেজা।
বিসিএস পরীক্ষা দিতে গতকাল সকালে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় রওনা দিয়েছিলেন ডা. ইমরান। স্ত্রী অন্তরা খানও চিকিৎসক। তিনি এবারের বিসিএস পরীক্ষার্থী। চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা গতকাল বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়। ভোরেই স্ত্রীকে নিয়ে বাসা থেকে বের হন ডা. ইমরান। এনা পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বাসে করে সিলেট থেকে ঢাকার পথে রওনা দেন তারা এবং দুই সন্তানকে তাদের নানার বাসায় রেখে যান। ভোর সাড়ে ৬টার রশিদপুরের অদূরবর্তী ব্রিজের কাছে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৮ জন যাত্রীর মধ্যে রয়েছেন ডা. ইমরান। স্ত্রী ডা. অন্তরার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
জানা গেছে, সিলেট নগরীর ফাজিলচিশত এলাকার বাসিন্দা প্রখ্যাত প্যাথোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেনের ছেলে ডা. ইমরান। পুত্রশোকে কাতর বাবা আমজাদ হোসেন এখন ব্যস্ত পুত্রবধূকে কীভাবে বাঁচানো যায় সেই চেষ্টায়। ডা. ইমরান জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
